গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত

গর্ভবতী সময়ে প্রত্যক মায়ের উচিত খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করা। কারণ গর্ভবতীর সময়ে আলাদা কিছু খাবার প্রয়োজন হয়। চলুন এই পর্বে গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত জেনে নিন। গর্ভধারণের পর শিশু মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠার সাথে সাথে একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। তাই অবশ্যই একজন গর্ভবতী মাকে চতুর্থ মাস থেকে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বেশ সচেতন হতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত।
গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত
গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা অনুযায়ী সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় খাবারের পরিমাণটাও অনেকটা বাড়িয়ে দিতে হবে কারণ এখন একই খাবার দিয়ে দুটো শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা

গর্ভকালীন সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর,প্রোটিন এবং ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা আবশ্যক। প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস তেমন কোনো বাড়টি খাবারের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু পরবর্তী মাসগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি খাবার খেতে হয়। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতায় একটি সুষম খাদতালিকা মেনে চলা অত্যন্ত আবশ্যক। সঠিক খাদ্য তালিকা গর্ভের বাচ্চার অতিরিক্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে এবং আপনার এবং আপনার সন্তানের সুষম স্বাস্থ্য বজায় থাকবে। তাই আপনার শিশুর বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা, উপযুক্ত গঠন এবং সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সুষম খাদ্য তালিকা মেনে খাবার গ্রহণ করা জরুরী।

গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় সব সময় একই ধরনের খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা ঠিক নয়। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হবে এবং এই পুষ্টির চাহিদা অনুযায়ী খাবারের তালিকা তৈরি করতে হবে। এতে করে শুধু একই ধরনের পুষ্টি না পেয়ে যাতে মা ও শিশু সব ধরনের পুষ্টি পেয়ে থাকে। একই সাথে একই ধরনের খাবারের প্রতি যেন একঘেয়েমিতা না আসে। আবার অনেক সময় গর্ভাবস্থায় দেখা যায় কোন খাবারে হয়তো অনেক বেশি রুচি আসে আবার অন্য কোন খাবারে হয়তো অনেক অরুচি আসে।
তাই বলে যে এক ধরনের খাবারে বেশি রুচি এসেছে সে খাবারটায় একই সঙ্গে অনেক বেশি করে খাবেন এমনটা করা যাবে না। চেষ্টা করবেন সবসময় সঠিক পরিমাণ অনুযায়ী খাবার খাওয়া। আবার যদি কোন খাবারে অরুচি এসে থাকে।হয়তো সেই খাবারে বুক জ্বালাপোড়া করে কিংবা বমি বমি লাগে, তাহলে সেই খাবারটি একবারে না খেয়ে বরংচ অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতক্ষণে নিশ্চয় আপনি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত।

গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি আরো কি কি খাওয়া উচিত

গর্ভকালীন সময়ে একটি মায়ের অবশ্যই সাধারণ খাবারের পাশাপাশি বাড়তি কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কেননা সেই সময়ে গর্ভকালীন মায়ের প্রচুর পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি আরো কি কি খাওয়া উচিত

গর্ভকালীন সময়ে শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই চলবে না। এ সময় আপনার শরীরে অতিরিক্ত সুষমক খাবার প্রয়োজন যাতে মা ও সন্তান উভয়েই সঠিক পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে। শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার খেয়েই সম্পূর্ণ পুষ্টির চাহিদা পূরণ নাও হতে পারে, সে ক্ষেত্রে আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য এবং আপনার জন্য সঠিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুষ্টিকর ও সুষম খাবার অবশ্যই জরুরী কিন্তু তার পাশাপাশিও কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল প্রয়োজন রয়েছে।

গর্ভকালীন সময়ে কোন কোন মাসে কতটুকু বাড়তি খাবার খাওয়া উচিত

শুধু বাড়তি খাবার খাওয়ালেই গর্ভকালীন মায়ের পুষ্টির অভাব পূরণ হয়ে যায় না। অবশ্যই তাকে জেনে খাওয়াতে হবে গর্ভকালীন সময়ে কোন মাসে কতটুকু পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন হয়। কেননা বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ও বৃদ্ধি পায়। তাই এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভকালীন সময়ে কোন কোন মাসে কতটুকু বাড়তি খাবার খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় শুধু যে বেশি বেশি খাবার খেতে হবে এমন কোন কথা নেই বা এমনটা উচিতও নয়। আমরা আগেই বলেছি গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে তেমন কোন বাড়তি খাবারের প্রয়োজন পড়ে না। তবে পরবর্তী মাসগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাবার খেতে হয়। এক্ষেত্রে বেবির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের উচিত সবসময় অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো এড়িয়ে চলা। গর্ভাবস্থায় একটু অতিরিক্ত ক্যালরির চাহিদা পূরণ করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে একই ধরনের খাবারের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ না করে বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় যেহেতু খাবারের প্রতি কিছুটা অরুচি বা খাবার খেলে বমি বমি ভাব আসতে পারে।সে ক্ষেত্রে যদি খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র থাকে তাহলে,অবশ্যই বিভিন্ন প্রকারের খাবার খেতে অনেক ভালো লাগবে।এবং সে সাথে মা এবং শিশুর পুষ্টির চাহিদাও সঠিকভাবে পূরণ করা যাবে।

১ থেকে ৩ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা

বাচ্চা গর্ভে আসার সাথে সাথে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন বাচ্চা গর্ভে আসার সাথে সাথে এক থেকে তিন মাসের মধ্যে গর্ভবতী মায়ের কি খাওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত। তাই চলুন এই পর্বে জেনে নেই ১ থেকে ৩ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা। 
গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে তেমন কোন অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় না। এ সময়ে খাদতালিকা নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের উচ্চতা, শারীরিক কায়িক শ্রম, ওজন এবং দৈনন্দিক কাজের পরিমাণ এর ওপর। যদি ওজন বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই সে অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে এবং সাধারণ ব্যায়ামের পরিমাণ একটু বেশি করে দিতে হবে যাতে স্বাভাবিক ওজনে ফিরে আসা যায়। আবার যদি দেখা যায় ওজন কমে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে, স্বাভাবিক ব্যায়াম অখন রেখে খাবারের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তিনি সেই গর্ভবতী মায়ের জন্য সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করে দিবে। নিম্নে একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকার নমুনা দেওয়া হল। এই তালিকাটা ১৮০০-২০০০ কেলোরির মধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। আনুমানিক ওজন ৫৫-৬০ কেজি এবং উচ্চতা ৫ ফুট থেকে ৫ ফুট তিন ইঞ্চি। সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩ দিন সাধারণ ব্যায়াম করলেই একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য যথেষ্ট।
  • ভাত(যদি সম্ভব হয় লাল চালের ভাত)-৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম অর্থাৎ ২-৩ কাপ
  • রঙিন এবং সবুজ শাকসবজি-২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম অর্থাৎ ১ থেকে ১.৫ কাপ
  • রঙিন ফলমূল-প্রতিদিন কমপক্ষে এক বাটি ফল বা সবজি খেতে হবে
  • দুধ-২৫০ গ্রাম বা একগ্লাস অবশ্যই থাকতে হবে
  • ডিম-কমপক্ষে ১ টি
  • ডাল-২ বাটি অর্থাৎ ৪০০-৫০০ গ্রাম
  • মাছ এবং মাংস-প্রতিদিন কমপক্ষে ১ টুকরা
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন খাবারে অতিরিক্ত তেল বা মসলা ব্যবহার করা না হয়। প্রয়োজনে গর্ভবতী মায়ের জন্য কম তেল মসলা দিয়ে খাবার রান্না করতে হবে। অতিরিক্ত তেল মশলার কারণে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ে না বরং খাবারের কেলোরির পরিমান অনেকটা বেড়ে যায়।যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত নয়।

৪ থেকে ৬ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা

দিন যত যেতে থাকে তার সাথে একজন মায়ের গর্ভে সন্তানও বড় হতে থাকে। তাই অবশ্যই প্রত্যক মাসেই খাদ্য তালিকা এক হওয়া উচিত নয়। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের খাদ্য তালিকা ও পরিবর্তন আনা উচিত। তাই চলুন ৪ থেকে ৬ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা।

উপরের আলোচনা থেকে অবশ্যই এতক্ষণে আমরা জানতে পেরেছি একজন গর্ভবতী মায়ের দৈনিক কত ক্যালরি খাবার প্রয়োজন। যেহেতু গর্ভকালীন সময় ৪ থেকে ৬ মাস সেহেতু খাবারের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ স্বাভাবিক খাবারের তুলনায় ৩৪০-৩৫০ ক্যালোরি খাবার বেশি খেতে হবে। অর্থাৎ একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাসে কমপক্ষে প্রতিদিন ২১০০-২১৫০ ক্যালোরি খাবার গ্রহণ করতে হবে । সেক্ষেত্রে ওপরের খাদ্য তালিকার সাথে আরো কিছু খাদ্য বাড়িয়ে দিতে হবে। আপনারা চাইলে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী সে খাবারগুলো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন কিংবা নিজেদের ইচ্ছেমত তালিকা সাজাতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যদি আপনার ওজন একটু বেশি হয়ে থাকে তবে খাবার একটু কম খেতে হবে এবং শারীরিক ব্যায়াম একটু বেশি করতে হবে।

৭ থেকে ৯ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা

এই পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম মাস থেকে দশ মাস পর্যন্ত কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত। অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের চাহিদা এবং বাচ্চার পুষ্টির জন্য খাদ্য তালিকার পরিবর্তন করা উচিত। তাই চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক ৭ থেকে ৯ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকাঃ

একজন স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় ৭ থেকে ৯ মাস বয়সী গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় ৪৫০-৫০০ ক্যালোরি অতিরিক্ত খাবার প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে উপরের সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যায় আপনি যদি ৭ থেকে ৯ মাসের একজন গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রায় ২৩০০-২৪০০ ক্যালোরি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে। এই অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনি দিনে তিনবেলার পরিবর্তে ছয় বেলা খাবার গ্রহণ করুন। এতে আপনার এবং আপনার সন্তানের সমস্ত ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। এবং আশা করা যায় আপনি একজন সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কোন জটিলতা আসবে না। এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত খাবার হিসেবে প্রতিদিন হালকা কিছু খাবার খেতে পারেন যেমন টক দই অথবা কাঠবাদাম বা এ জাতীয় প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করতে পারেন।অবশ্যই ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও আপনার ক্ষুধা অনুযায়ী আপনি যে কোন সময় যে কোন খাবার খেতে পারেন।তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন খাবারটি যেন স্বাস্থ্যকর হয়।

জমজ বাচ্চার ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা

একজন স্বাভাবিক গর্ভবতী মায়ের জন্য যে খাবারের প্রয়োজন হয় তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন খাবারের প্রয়োজন হয় একজন যমজ বাচ্চার মায়ের ক্ষেত্রে। কারণ একজন গর্ভবতী জমজ বাচ্চার মায়ের খাবার চাহিদা অন্যান্য গর্ভবতী মায়ের থেকে অনেক গুণ বেশি থাকে। কারণ গর্ভবতী মায়ের পেটে একসাথে দুটো বাচ্চার পুষ্টির যোগান দিতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই জমজ বাচ্চার ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা।

যদি আপনি জেনে থাকেন আপনার গর্ভে একই সঙ্গে একের অধিক অর্থাৎ যমজ বাচ্চা রয়েছে তবে আপনি সৌভাগ্যবান। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আরো কিছু অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। দৈনিক প্রায় অতিরিক্ত আরো ৬০০ ক্যালোরি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে । আবার আপনি যদি একই সঙ্গে তিনটি সন্তান গর্ভধারণ করেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত দৈনিক ৯০০ ক্যালোরি খাবার গ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকার সাথে সমন্বয় করে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা - যে ১০ ফল খেলে হতে পারে গর্ভপাত

গর্ভবতী অবস্থায় অবশ্যই একজন সন্তানের মায়ের একটু সতর্কতার সাথে খাওয়া-দাওয়া করা প্রয়োজন। কেননা অনেক সময় সন্তানের মায়ের অথবা গর্ভবতী মায়ের খাদ্যের তালিকার মধ্যে এমন খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে একজন সন্তানের জন্য বিষ সরুপ হয়ে যায়। অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের সতর্কতার সাথে হাওয়া প্রয়োজন। চলুন এই পর্বে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা - যে ১০ ফল খেলে হতে পারে গর্ভপাত।
  • আনারসঃ আনারসের প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলাইন থাকে। ব্রোমেলাইন হল এক ধরনের এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙে ফেলে। প্রোটিনকে ভেঙ্গে ফেলার কারণে জরায়ু নরম হতে শুরু করে এবং এ কারণে ল অকাল প্রসব হতে পারে।গর্ভকালীন সময়ে আনারস খাওয়ার জন্য জরায়ুতে তীব্র সংকোচন শুরু হতে পারে। এর ফলস্বরূপ হতে পারে গর্ভপাত। তাই সতর্ক থাকবেন গর্ভাবস্থায় কখনোই আনারস খাবেন না।
  • তেতুলঃ গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় ফলের প্রতি মেয়েদের আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে আসে তেতুলের কথা। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তে তেঁতুল খাওয়াও ঠিক না। কারণ তেতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা একজন গর্ভবতী নারীদের সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত তেঁতুল শরীরে স্ত্রী হরমোনের প্রোজেস্টেরন এর উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে। ফলস্বরূপ গর্ভপাত হতে পারে। এটি ভ্রুনের কোষকে বিনষ্ট করতে পারে তাই অবশ্যই গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস অতিরিক্ত তে তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি সম্ভব হয় একেবারেই তেতুল খাবেন না।
  • পেঁপেঃ পেঁপে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টি তবুও এটি একজন গর্ভবতীর জন্য উপযুক্ত খাবার নয়। এ যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এটি একজন গর্ববতীর শারীরিক তাপমাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে শরীরে ল্যাটেক্স উৎপন্ন হয় যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। এটি ভ্রুনের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করে। তাই গর্ভকালীন সময়ে কাঁচা বা পাকা উভয় পেঁপে খাওয়া যাবেনা।
  • আঙ্গুর ফলঃ আঙ্গুরে রয়েছে যৌগিক রেসভেট্রোল যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বিষাক্ত হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে সবুজ কিংবা কালো উভয় ধরনের আঙ্গুরি এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও কালো আঙ্গুরের চামড়া গর্ভাবস্থায় হজম করা কষ্টকর হয়ে থাকে। কারণ এ সময় হজম ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অবশ্যই গর্ভকালীন সময়ে আঙ্গুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • কলাঃ কলাতে লাটেক্স জাতীয় চিটিনেস থাকে যা একটি এলার্জির নামে পরিচিত। যদি কারো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়াও গলাতে রয়েছে অধিক পরিমাণে চিনি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কলা খাওয়া উচিত নয়। যদি গর্ভকালীন সময়ে আপনার অ্যালার্জি কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে কলা খাওয়া থেকে এড়িয়ে থাকতে হবে।
  • তরমুজঃ তরমুজ একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল যা গরমের সময় আমাদের শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীর থেকে বিভিন্ন রকমের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। তবে এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। এটি অতিরিক্ত টক্সিন নিঃসৃত করে, যার ফলে গর্ভ অবস্থায় শরীর থেকে যদি সব ধরনের টক্সিন ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে ভ্রুনের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত তরমুজ খেলে রক্তে গ্লুকোজ অনেক গুণ বেড়ে যায়। আবার তরমুজের মুত্রবধক আচরণ শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো বের করে দেয়। তাছাড়াও এটি গর্ভবতী নারীর সর্দি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই যতটা সম্ভব গর্ভকালীন সময়ে তরমুজ এড়িয়ে চলা উচিত।
  • খেজুরঃ খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তবে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ খেজুর শরীরের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় এবং জরায়ুর পেশীতে সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে। তাই গর্ব অবস্থায় কখনোই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া উচিত নয়।
  • সংরক্ষিত খাবারঃ বিভিন্ন উপাসকসমূহ তিন জাত খাবার বা টমেটো পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় এগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো। এগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় যাতে দীর্ঘদিন খাবার ভালো থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এই প্রিজারভেটিভ গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • শুকনো বা হিমায়িত ফলঃ গর্ভকালীন সময়ে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত কোন ফল বা খাবার খাওয়া উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খাওয়া উচিত। হিমায়িত বা শুকনো খাবারের প্রচুর পরিমাণে ফরমালিন বা প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে কারণে মা এবং সন্তান উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে তাই সবসময় তাজা ফলমূল খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় যে ফলগুলো নিরাপদ-গর্ভাবস্থায় কোন ফল গুলো নিরাপদ

গর্ভবতী অবস্থায় সব ফলগুলো খেলেই যে বিষ সরুপ সন্তানের জন্য হয়ে যাবে এমন কিন্তু নয়। গর্ভবতী অবস্থায় অনেক ফল রয়েছে যেগুলো খেলে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক পুষ্টি যোগান দিবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় যে ফলগুলো নিরাপদ-গর্ভাবস্থায় কোন ফল গুলো নিরাপদঃ
  • আপেল
  • আম
  • কমলা লেবু
  • পেয়ারা
  • নাশপাতি
  • ডালিম
  • অ্যাভোকাডো

গর্ভবতী মায়েদের খাবারের তালিকায় অবশ্যই যে খাবারগুলো থাকতে হবে

গর্ভবতী মায়েদের খাবারের তালিকায় অবশ্যই যে খাবারগুলো থাকতে হবে সেগুলো আমাদের জেনে রাখা উচিত। কেননা এসব খাবার খেলে একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টির যোগান দেয় সাথে সন্তানের জন্য অনেক উপকারী হয়। গর্ভাবস্থায় মা এবং সন্তানের পুষ্টির জন্য সঠিক খাবার প্রয়োজন। যে সমস্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবা্র, আইরন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড EPA ওDHA যা শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ডাল
  • বাদাম জাতীয় খাদ্যদ্রব্য
  • সয়াবিন
  • রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু
  • সেমন মাছ
  • ডিম
  • সবুজ শাকসবজি
  • চর্বিহীন মাংস
  • বিজ জাতীয় ফসল বা গোটা শস্যদানা
  • আভোকাডো
  • ড্রাই ফুড
  • মাছের যকৃত
  • বিশুদ্ধ পানি
  • রঙিন ফলমূল
  • দুধ
  • স্টাস জাতীয় খাবার
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

গর্ভাবস্থায় যেসব খাওয়ার গুলো খাওয়া যাবে না-গর্ভাবস্থায় যে ১৫টি খাবার খাওয়া যাবেনা

একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই এই 15 টি খাবার খাওয়া যাবেনা। কেননা এই খাবারগুলো খেলে একজন সন্তানের জন্য অনেক ঝুঁকি থেকে যাবে। অবশ্যই আমাদের গর্ভবতী মায়ের এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের মাধ্যমে সন্তানের পোষ্টির যোগান দেয়। আবার সেই মা যদি কোন কিছু খেয়ে থাকে তবে সেটা সন্তানের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হয়ে যাই। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় যেসব খাওয়ার গুলো খাওয়া যাবে না-গর্ভাবস্থায় যে ১৫টি খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • কাঁচা ডিম
  • লিভার বা কলিজা এবং কলিজা দিয়ে তৈরি যে কোন খাবার
  • কাঁচা দুধ
  • পেঁপে
  • ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য
  • অর্ধ সিদ্ধ বা কাঁচা মাছ-মাংস
  • সামুদ্রিক মাছ
  • মিষ্টি
  • প্রসেস খাবার
  • ফাস্টফুড
  • এলার্জি যুক্ত খাবার
  • ভেষজ বা হারবাল ঔষধ
  • কোমল পানীয়
  • ধূমপান বা মদ্যপান
  • আনারস

গর্ভবতী মায়ের সকালের খাদ্য তালিকা

আপনি যদি একজন গর্ভবতী মায়ের সকালের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন গর্ভবতী মায়ের সকালের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত।

সকালে বমি বমি ভাব একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাভাবিক একটি বিষয়। এক্ষেত্রে সকালে কোন কিছু খেতেই ইচ্ছে করে না। তাই এ সময়টা ভারী খাবার না খেয়ে কিছু হালকা খাবার খেতে পারেন। যেমন হালকা গ্রিন টি এবং সাথে বিস্কুট। এবং সাথে একটি ডিম সিদ্ধ করে খেতে পারেন। এরপর একটু বেলা হলে ১০ টা কিংবা ১১ টার দিকে ননী ছাড়া এক গ্লাস দুধ অথবা কিছু ফল কিংবা এক গ্লাস ফলের জুস খেতে পারেন। এর সাথে কিছু শুকনো বাদামও খেতে পারেন।

গর্ভবতী মায়ের দুপুরের খাদ্য তালিকা

প্রথম সন্ধ্যায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য আলাদা আলাদা খাবার রাখা প্রয়োজন। কেননা একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য মাধ্যমে একটি সন্তানের পুষ্টির যোগান দেয়। তাই অবশ্যই আমাদের খাবারের সন্ধায় খেয়াল রাখতে হবে একজন গর্ভবতীর মায়ের জন্য কোন খাবারে কতটুকু পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই একজন গর্ভবতী মায়ের দুপুরের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত। সকালে যেহেতু শুধুমাত্র হালকা খাবার খাওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে দুপুরে একটু ভারী খাবার খেতে হবে। যেমন এক বাটি ভাত, মাছ বা মাংশ, ডাল, শাকসবজির তরকারি, টাটকা ফল এবং সবজির ছালার ইত্যাদি। এবং খাবার শেষে দই খেতে পারেন।

গর্ভবতী মায়ের রাতের খাদ্য তালিকা

প্রত্যক সন্ধ্যায় একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় ভিন্ন রকম আনা উচিত। কেননা এক এক সময় এক এক ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই খাদ্য তালিকায় আমাদের ভিন্নতার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন গর্ভবতী মায়ের রাতের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত।

যেহেতু গর্ভবতীদের পুষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। সেহেতু রাতের খাবারের তালিকায় দুপুরের মতোই ভারী খাবার রাখতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে রাতে যেন শাক খাওয়া না হয়। তবে বেশি করে সবজির তরকারি খেতে হবে। এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই দুধ রাখতে হবে।
সর্তকতা-গর্ভকালীন সময়ে যাদের উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দেওয়া খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে মিষ্টি জাতীয় এবং শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে লবণ কম করে খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই সম্পূর্ণ পোস্টটির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এগুলো হলোঃ

আয়রন

গর্ভকালীন সময়ে আয়রনের অভাব পূরণ করতে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি তিন বেলায় আয়রন ট্যাবলেট সেবন করা প্রয়োজন। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস ৩০-৬০ মিলিগ্রাম করে আইরন ট্যাবলেট সেবন করতে হয়। এটি গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। এছাড়াও আইরন গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা যেমন প্রি  ডেলিভারি বা ওজনের বেবি জন্মদিন এ ধরনের জটিলতা গুলো থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।

ফলিক অ্যাসিড

ফলিক এসিডের মাধ্যমে শিশুর ব্রেন গঠন সম্পন্ন হয়। এবং এর পাশাপাশি গর্ভধারণের সময় বিভিন্ন জটিলতা এবং ত্রুটি মুক্ত শিশু জন্মদানে সাহায্য করে থাকে। সাধারণত সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করার সময় থেকে শুরু করে সন্তান জন্মের তিন মাস পর পর্যন্ত দৈনিক ৪০০ মাইক্রগ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।

ক্যালসিয়াম

গর্ভধারণের পঞ্চম মাস পর থেকে দৈনিক 1.50-২গ্রাম ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে।সেক্ষেত্রে সারাদিনে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম করে তিন বেলায় খেতে হবে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের শারীরিক পুষ্টির প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আরো অনেক ঔষধ সাজেস্ট করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা - গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় এবং গর্ভকালীন সময়ে কি খাওয়া উচিত সম্পর্কে কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url