মাসিক হলে করণীয় - মাসিক হলে কি করা উচিত
মেয়েদের অন্যতম একটি সমস্যা হল মিন্স বা মাসিক। আপনি যদি মাসিক হলে করণীয় -
মাসিক হলে কি করা উচিত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের
মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাসিক হলে করণীয় কি। অনেক মেয়ে রয়েছে যারা
লজ্জার কারণে অন্য কাউকে বলতে পারেনা। আপনিও যদি আপনার গোপন সমস্যার কারণে অন্য
কাউকে বলতে না পারেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া
যাক মাসিক হলে করণীয় - মাসিক হলে কি করা উচিত।
মেয়েদের অন্যতম গোপন সমস্যা হল মাসিক। যা একটি মেয়ে লজ্জার কারণে অন্য কাউকে
বলতে পারেনা। তবে এখানে লজ্জার কিছু নেই এটি তাদের প্রত্যেক মাসেই হয়ে থাকে। যা
আমাদের সহজভাবে নিতে হবে। আপনার যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তবে এই পর্বটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাসিক হলে করণীয় - মাসিক হলে কি করা
উচিত।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মাসিক হলে করণীয় - মাসিক হলে কি করা উচিত
মাসিক হলে করণীয়
আপনি যদি মাসিক হলে করণীয় কি জানতে চান তবে এই পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক একটি মেয়ের মাসিক হলে কি
করনীয়। মাসিক বা ঋতু স্রাব বা পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অনেক নারী বিভিন্ন
ধরনের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে সাধারণত শারীরিক অস্বস্তির মধ্যে থাকেন।
তাছাড়াও পেটে ব্যথা কোমরে ব্যথা অতিরিক্ত রক্তপাত এগুলো তো কম বেশি লেগেই থাকে।
এসবের পাশাপাশিও মনেও অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে। ঘন ঘন মেজাজ খারাপ হতে থাকে। তার
সাথে তলপেট ব্যথা মাথাব্যথা ও শরীরে ব্যথা তো লেগেই থাকে। সব মিলিয়ে বেশ
অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সময় অনেকগুলো ভুল কাজের জন্য নানা
ধরনের সমস্যা ও অস্বস্তি বাড়তে পারে। বিশেষ করে নিচে উল্লেখ্য এই ১০ টি কাজ
একেবারেই করবেন না।
- একটি স্যানিটারি প্যাড ৪-৬ ঘন্টার বেশি ব্যবহার করবেন না। বেশিক্ষণ ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড ব্যাকটেরিয়ার আতুর ঘরে পরিণত হয়। একই সঙ্গে জীবাণু এবং দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। এবং আমাদের প্রাইভেট এরিয়াতে ফুসকুড়ি ও টি এস এস(টক্সিক শক সিনড্রোম) দেখা দিতে পারে। ফলে জরায়ু মুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায় তাছাড়াও যনননালীতে বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
- মাসিক চলাকালীন সময়ে কখনোই রাত জাগবেন না। এতে শরীর আরো ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ঋতুস্রাব জনিত অস্বস্তি ও বেড়ে যায়।
- এ সময় দই, দুধ এবং দুধজাত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক সহ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
- এ সময় অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়া উচিত নয়। এতে উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন পেট ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- স্যানিটারি প্যাড বা মেনস্ট্রয়াল কাপ ছাড়া ঘুমাবেন না। যদি রেগুলার ইউজের প্যাড পড়ে ঘুমাতে অস্বস্তি অনুভূত হয় তাহলে আরামদায়ক প্যাড ব্যবহার করুন।
- এ সময় চিপস কিংবা নোনটা কোন খাবার খাবেন না। এমনিতেই মাসিকের সময় শরীল বেশ ভারী লাগে তার ওপর যদি এসব খাবার খান তাহলে শরীরে পানি জমতে পারে
- মাসিকের কারণে আবার শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না।বরং মাসিকের সময় শরীরচর্চা করলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। এবংসাভাবিক অস্বস্তি কিছুটা প্রশমন হয়।
- এই সময় ভুলেও দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। যদিও এ সময় কিছুই খেতে ইচ্ছে করেনা ,তবুও যেটুকু পারবেন সেটুকু খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেহেতু মাসিকের সময় শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়ে যাই, তাই এ সময় স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অধিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
- ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক জানলেও অনেকেই মানেন না। তবে মাসিকের সময় ধূমপান করলে প্রচন্ড ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ভুলেও কেউ মাসিকের সময় ধূমপান করবেন না।
- মাসিক চলাকালীন সময়ে ভুলেও ওয়াক্স করবেন না। এ সময় শরীরের মতো ত্বক ও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, তাই ওয়াক্স করালে বেশি ব্যথা পেতে পারেন।
মাসিক হলে কি করা উচিত
প্রত্যেক মেয়েরে জানা উচিত মাসিক হলে কি করা উচিত। কেননা এই সমস্যাটি হলে
আমরা কাউকে বলতে পারি না। অনেক সময় এই সমস্যাটা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই
চলুন জেনে নেওয়া যাক মাসিক হলে কি করা উচিত। মাসিক বা পিরিয়ডের ব্যথা
হওয়া একটি সাধারন ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিরিয়ডের ব্যথা তেমন তীব্র বা জটিল
রুপ ধারণ করে না। এ কারণে এই ব্যথার চিকিৎসা বাড়িতেই করা যায়। বেশিরভাগ নারী
জীবনে কোন না কোন সময়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। পিরিয়ডের ব্যথা
সাধারণত পেট কামরানোর ব্যথার মতো হয়ে থাকে। এই ব্যথা কোমরে এবং উরুতে ছড়িয়ে
পড়ে। তবে অবশ্যই মাসিকের ব্যথা শুরু হলে নিচের কাজ গুলো করা উচিত।
- হিটিং প্যাক ব্যবহার করুনঃ পিরিয়ডের সময় হিটিং প্যাড বা হট প্যান্ট গর্ভাশয় এর মাংসপেশীর মোচড় থেকে স্বস্তি দেয়। পিরিয়ডের সময় পিঠ ব্যথা কম করার জন্য পিঠের নিচে অংশে হিটিং প্যাড রাখা যেতে পারে।
- নারিকেল তেল বা তিলের তেল মালিশঃ নারকেল বা তিলের তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ ও লেনলিক এসিড থাকে যা পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। পিরিয়ডের সময় তলপেটে নারকেল তেল বা তিলের তেল মাসাজ করলে মাংসপেশি মোচর কমানো যায় এবং আপনি অনেকটা স্বস্তি অনুভব করবেন।
- হারবাল টিঃ পিরিয়ডের সময় হারবাল চাপান করলে সুফল পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য দুধ ছাড়া চা খাওয়া ভালো। বিশেষ করে আদা গোলমরিচ দেওয়া চা পান করতে পারেন। এতে করে শুধু পিরিয়ডের ব্যথায় নয়, বরং অনিয়মিত ঋতুস্রাব। পে মিস্টুয়াল সিন্ড্রোমের সমস্যা ও কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কেমো মাইল চা এ সময় পান করতে পারেন এইটা প্রস্তা গ্ল্য়ানডিং এর উৎপাদন কম করে।
- ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহারঃ ঋতুস্রাবের সময় অধিক তেল ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয় এবং পেট ফুলে যেতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে ব্যথা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।
- অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুনঃ ঋতুস্রাবের সময় মদ, ধূমপান এবং ক্যাফিন যুক্ত পানিও গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে শরীরে পানি জমতে পারে এবং তলপেট ভারী হয়ে থাকতে পারে।নোনতা খাবার ক্যাফিন কার্বনেটেড ডিংস এড়িয়ে চললে ব্যথা থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।
- কুসুম গরম পানির সেক নিনঃ এক গবেষণায় দেখা গেছে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর প্রচলিত কিছু ঔষধ এর চেয়ে গরম শেখ বেশি কিংবা সমানভাবে কার্যকর। গরম শেখ প্যারাসিটামলের চেয়ে বেশি কার্যকর এবং আইবুপ্রোফেনের সমান কার্যকর। সেই সাথে গরম থেকে আরো কিছু সুবিধা হল এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। একটি হট ওয়াটার ব্যাগ তোয়ালে বা মোটা গামছা দিয়ে মুড়িয়ে তল পেটের ওপর রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন সহনীয় তাপমাত্রায় পানি ব্যবহার করতে হবে। ওয়াটার ব্যাগের মুখ ভালোভাবে আটকানো আছে কিনা এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর উল্টে পাল্টে দিতে হবে।
- আদা সেবন করুনঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আদার উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমাতে আদা মহা ঔষধ। তেমনি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতেও আদা সাহায্য করে। যারা প্রি নিয়মিত পিরিয়ডের ব্যথায় ভুোগেন, তারা পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হওয়ার আগে আদা খাওয়া শুরু করতে পারেন। আদা কুচি করে এমনি এমনি খেতে পারেন অথবা গরম পানি বা চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। মাসিকের প্রথম ৩-৪ দিন দৈনিক তিন বেলা করে এভাবে আদা কুচি খেলে আশা করা যায় আপনাকে পিরিয়ডের ব্যথায় কাটরাতে হবে না।
- ব্যায়াম করুনঃ ব্যথার কারণে অনেকেই পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করতে পারেন না। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে-সাধারণত সহজ সরল যোগব্যায়াম, হাটাচলা করলে ব্যথা অনেকটা কমে যায়। এজন্য সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা করে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। আপনি চাইলে ভারী ব্যায়াম ছাড়াও সাঁতার কাটা,হাটা, সাইকেল চালানো ও ইয়োগার মতো হালকা ব্যয়াম বেছে নিতে পারেন। এ সময় ভারী কোন কাজ করা উচিত নয়। ব্যায়াম করার ফলে এন্ডোফিন নিঃসৃত হয়। যা জরায়ু পেশীর মজুর কম করার জন্য প্রকৃতিক ঔষধের ন্যায় কাজ করে।
- শ্বাসের ব্যায়াম করুনঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর একটি ভালো উপায় হলো শ্বাসের ব্যায়াম করা। যেমন-নাক দিয়ে বড় করে শ্বাস নিন, এমনভাবে সাজ নিতে হবে যেন বাতাস বুকের গভীরে ঢুকে এবং পেট ফুলে যায়। এভাবে শ্বাস নিলে পেটের ওপরের ব্যথাটা হালকা হয়ে আসবে এবং মুখ দিয়ে এমন ভাবে শ্বাস ছাড়ুন যেন মনে হয় একটি মোমবাতি নেভানো হচ্ছে।
- পেট মাসাজ করুনঃ তলপেট ও এর আশেপাশে আলতো ভাবে মাসাজ করলে সেটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুনঃ কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটা কমানো যায়।এ সময় গরম জলে চান করলে এবং গরম তরল পদার্থ পান করলেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
- রিলাক্স করুনঃ এ সময় মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন ব্যথা এবং অস্বস্তির অনুভূতি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে সাহায্য করে।
মেয়েদের মাসিক হলে কি করা উচিত
অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের মাসিক হওয়া অবস্থায় কাউকে বলতে পারেনা। আবার তারা
জানেও না মাসি হলে কি করা উচিত। তাই আপনি যদি মাসিক হলে কি করা উচিত না জেনে
থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের মাসিক হলে কি
করা উচিত।
- নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
- অতিরিক্ত মাসিকের ফলে দেহ থেকে অধিক পরিমাণে আয়রন বের হয়ে যায় ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই বেশি বেশি আয়রন যুক্ত ও পুষ্টিকর ভালো খাবার গ্রহণ করুন।
- যেকোনো ধরনের হতাশা বা টেনশন থেকে বিরত থাকুন ।
- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। শারীরিক বিশেষ সব ধরনের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হন এবং লজ্জা না করে নিজের সব ধরনের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন ।
- অতিরিক্ত সমস্যা হলে নিজের প্রতি বেশি খেয়াল রাখুন। বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং পেড বা টেম্পল ঘন ঘন পরিবর্তন করুন।
- জীবাণুমুক্তকরণ প্যাড ব্যবহার করা
- প্রচুর পরিমাণে পানি বা তরল পদার্থ গ্রহণ করা
- সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল খাওয়া
- ভারী তেল মসলাযুক্ত খাবার না খাওয়া
- পেপে না খাওয়া
- কোমল পানীয় বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
- অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পানি দ্বারা মিশিয়ে পরিমাণ মত গ্রহণ করা
- পানির সাথে মিশিয়ে দারুচিনি সেবন করা
- নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান এবং সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া
- বর্তমান সমস্যা অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা।
- মাসিক শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত হিসাব রাখুন এবং কতগুলো প্যাড পরিবর্তন করা হয়েছে সেটারও হিসেব রাখুন। কোন কিছু অস্বাভাবিক মনে হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে ঔষধ সেবন করুন।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষুধ
আপনি যদি মাসিকের ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার
জন্য। অনেকের রয়েছে যাদের মাসিকের সমস্যা হলে লজ্জার কারণে ডক্টরের কাছে যেতে
পারে না। তারা এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষুধ
সম্পর্কে।
প্যারাসিটামলঃ যাদের বয়স ১২ বা তার বেশি, তারা ৫০০ থেকে ১০০০
মিলিগ্রাম করে প্যারাসিটামল খেতে পারবেন। যদি 500 মিলিগ্রামের ট্যাবলেট হয়
তাহলে চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর একটা অথবা দুইটা করে খেতে পারেন। তবে সব
মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ৫০০ মিলিগ্রামের আটটা ট্যাবলেট এর বেশি সেবন করা যাবে
না।অনেক সময় পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে একটা ঔষধ কাজ নাও করতে পারে। তখন আপনি
আইবুপ্রোফেন আর প্যারাসিটামল দুটোই একসাথে খেতে পারেন।অনেক সময় এইসব
ঔষধের পরেও যদি ব্যথা না কমে তবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন।তিনি (এন এস এ আই
ডি) গ্রুপের অন্য কোন ঔষধ, হরমোনাল ঔষধ কিংবা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবনের
পরামর্শ দিতে পারেন।
সর্তকতা-১২ বছরের কম বয়সী কোন শিশু এই ঔষধ সেবন করতে পারবেনা।
এক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী সঠিক ঔষধ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে ঔষধ
কেনার আগে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে লেখা পড়ে নিতে হবে এতে আপনি বয়স অনুযায়ী
রোজ মনে রাখতে সুবিধা হবে।
আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিনঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আইবুপ্রোফেন
অত্যন্ত কার্যকরী। (প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন) নামক এটি কেমিক্যাল এর কারণে
পিরিয়ডের সময় ব্যথা হয়।আইবুপ্রোফেন এই কেমিক্যাল কে দমিয়ে দেয়, ফলে
ব্যথা কমে যায়। সাধারণত এই ঔষধ সেবনের পরে ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই ব্যথা কমে
যায়।আইবুপ্রোফেন৪০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দিনে ৩-৪ টা খেতে পারেন ।৪-৬ ঘন্টা
পর পর এই ঔষধ খেতে হয়। শুধুমাত্র বারো বছর অথবা তার বেশি হলেই এই ঔষধ সেবন
করা যাবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আইবুপ্রোফেন প্যারাসিটামল এর চেয়েও বেশি কার্যকরী।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন-
- অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগী
- পাকস্থলী, লিভার, কিডনি ও হার্টের সমস্যা থাকলে
- পেটে আলসার অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে
সতর্কতা- ১২ বছর কম বয়সী কেউ এই ঔষধ সেবন করতে পারবেন না বা তার
জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে।আইবুপ্রোফেন(এনএসএআইডি) গ্রুপের ঔষধ। এটি অবশ্যই
ভরা পেটে সেবন করতে হবে অন্যথায় পেটের সমস্যা হতে পারে অথবা কোন খাবার যেমন
এক গ্লাস দুধ খেয়ে তারপর ওষুধটি খেতে পারেন। পিরিয়ডের ব্যথার জন্য১-২ দিনের
বেশি এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নাই।
উল্লেখ্য, পিরিয়ডের ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন এর পরিবর্তে '
এনএসএআইডি' গ্রুপের আরেকটি ঔষধ সেবন করা যেতে পারে, এটি হলো অ্যাসপিরিন। এটিও
ভরা পেটে সেবন করতে হয় ।
সর্তকতা -16 বছরের কম বয়সীদের জন্য এটি সেবন করা উচিত নয়। অনেক সময়
এসব ঔষধ সেবনের পড়বে 'গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ' (যেমন -ওমি প্লাজল) সেবনের পরামর্শ
দেওয়া হয়।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়িঃ কম্বাইন্ড ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল বা
জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেটযেমন- সুখী) একটি জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।
তবে এটি পিরিয়ডের ব্যথার চিকিৎসাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এসব পিল বা
বড়িতে ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেক্টর নামক হরমোন থাকে। এগুলো--
- প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক কেমিক্যাল এর নিঃসরণ কমিয়ে দেয়
- জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ পাতলা করে
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন জরায়ুর দেওয়ালের সংকোচন জোরালো
করে।প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নিঃসরণ কমে আসার ফলে জরায়ু দেওয়ালের সংকোচনক্রমে
এবং ব্যথার তীব্রতা অনেক আংশিক কমে যায়। অন্যদিকে জরায়ুর আস্তরণের গুরুত্ব
কমে যাওয়ার ফলে মাসিকের সময়ে জরায়ুর দেওয়ালে আগের মত জোরালো সংকোচনের
প্রয়োজন হয় না। ফলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে আসে এবং পাশাপাশি রক্তক্ষরণের
পরিমাণও কমে যায়। এভাবে জন্মনিরোধক পিল পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
সর্তকতাঃ যদি আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি গ্রহণের অনুপযোগী হন তাহলে
আপনি কখনোই এটা সেবন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
ঔষধ সেবন করুন।
অনিয়মিত মাসিক হলে করণীয়
আপনি কি অনিয়মিত মাসিক হলে করণীয় কি জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অনিয়মিত মাসিক হলে করণীয় কি।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হলে কি
করনীয়। যেকোনো বয়সের নারীদের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে যারা অবিবাহিতা তাদের এই সমস্যাটা অধিক পরিমাণে দেখা দেয়। এর
অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে স্ট্রেস, পরিশ্রম, দুর্বলতা , জীবনযাত্রায়
বড় কোনো পরিবর্তন-ইত্যাদি বিভূতি কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। আবার
শারীরিক কোন ত্রুটির কারণে ও নিয়মিত পিরিয়ড হতে দেখা যায়। মাসিক নিয়মিত
করতে চিকিৎসকেরা সাধারণত হরমোন থেরাপি দিয়ে থাকেন। যা আমরা খাবারের পিল হিসেবে
চিনি।
যেমন-কম্বাইন্ড ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট(যেমন-
সুখী) । তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল যদি আপনার জন্য উপযুক্ত না হয় তবে ডাক্তার
আপনাকে বিকল্প হিসেবে কাঠি পদ্ধতি(ইমপ্ল্যান্ট) অথবা জন্ম নিয়ন্ত্রক ইনজেকশন
ব্যবহার করতে পরামর্শ দিতে পারেন। ক্ষেত্র বিশেষে মিরেনা নামক জরায়ু কাঠি
পদ্ধতি(ইন্ট্রাইউটেরাইন সিস্টেম) ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারে। তবে একটি বিষয়
আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এসব ঔষধের সাইড ইফেক্ট থাকে। মোটা হয়ে যাওয়া,
খাবারে অরুচি, পিম্পলস , মাথা ব্যথা , পা ব্যথা , মাথা ঝিমঝিম করা , বমি বমি
ভাব , পেট ফাঁপা ইত্যাদি নানান অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করার উপায়
আপনি যদি অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করার উপায় জানতে চান তবে আজকের পর্বটি আপনার
জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যায় অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করার
উপায়। প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার অনেক ভালো ।অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা বন্ধ
করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। তবে সেগুলোর অনেক ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। পিরিয়ড
নিয়মিত করার জন্য যে সকল হরমোন থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে তার অনেকগুলো
সাইডএফেক্ট রয়েছে যেমন খাবারে অরুচি , বমি বমি ভাব , ফোটা ফোটা মূত্র , পিম্পল
, মাথাব্যথা , মাথা ঝিমঝিম করা , পা ব্যথা , পেট ফাঁপা , মোটা হয়ে যাওয়া ,
হাঁসফাঁস করা , উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
তাই আসুন আমরা জেনে নিই ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করা যায়।
যার মাধ্যমে ওষুধ না খেয়েও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করতে
পারবেন।
- স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন-অনিয়মিত পিরিয়ড বন্ধ করার মূল লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। সাধারণত স্ট্রেস, পরিশ্রম , দুশ্চিন্তা , জীবনযাত্রায় বড় কোন পরিবর্তন, দুর্বলতা , বা শারীরিক কোন সমস্যার কারণে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন করেন তবে আপনার কখনোই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যার হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
- ফল ও সবজির জুস-নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফল এবং শাক সবজি রাখুন। বেশি করে ফলের জুস খান। এটি শরীর ঠান্ডা এবং সতেজ রাখে এবং হরমোন রেগুলেশনের সাহায্য করে। যেমন-গাজর, পুদিনা পাতা, করলার রস, ভিটামিন সি জাতীয় ফলের রস ইত্যাদি দিনে অন্তত দুইবার করে খেতে হবে। তবে পিরিয়ড নিয়মিত করতে গাজর এবং আঙ্গুরের রস ই সবথেকে বেশি কার্যকর।
- যোগব্যায়াম এন্ড মেডিসিটেশন-মাসিক নিয়মিত না হওয়ার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। বিশেষ করে অবিবাহিত মেয়েদের মধ্যে এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। শরীরের যে সমস্ত হরমোন গুলো পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলো স্টেজের কারণে ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড দেখা দেয়। যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন এর মাধ্যমে স্টেজ দূর করা যায়। পিরিয়ড নিয়মিত করতে সবথেকে উপযোগী পদ্ধতির মধ্যে এই দুইটি অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আয়রন বা লোহ সমৃদ্ধ খাবার-একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এইজন্য আয়রন ও লৌহ সমৃদ্ধ খাবার যেমন-মুরগির মাংস , গরুর মাংস , গরুর কলিজা , চিংড়ি মাছ , ডিম , কচুর শাক, লাল শাক, পালং শাক, মিষ্টি আলু, ফুলকপি , মটরশুঁটি , তরমুজ , খেজুর , গাব , টমেটো, ডাল, ভুট্টা ও বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
- দারুচিনি-অনিয়মিত মাসিক কমাতে দারুচিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে সমস্ত খাবার বহু গুণে গুণান্বিত দারুচিনি তার মধ্যে অন্যতম। অনিয়মিত পিরিয়ড দূর করতে চা বা লেবুর রসের সাথে দারুচিনি গুড়া করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনি পিরিয়ড নিয়মিত করার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
- জিরা-জিরা বহুবনে গুণান্বিত একটি মসলা। নিয়মিত মাসিক করতে জিরা অনেক ভালো কাজে দেয় । এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ জিরা নিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন , এবং সকালে এই পানি এবং জিরা দুটোই খেয়ে ফেলুন। এবং দেখুন এর জাদু। নিয়মিত সেবন করতে থাকুন সুফল পাবেন।
- আদা-যেকোনো ধরনের রোগ সারাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। আদা পিরিয়ড সাইকেল রেজুলেশনের সাহায্য করে এবং পিরিয়ড নিয়মিত করে। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ মিহি আদা কুচি নিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এখন এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে চিনি বা মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর এই পানীয়টি তিন বেলা খাবেন । কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবেন এই পানীয়টি ভরা পেটে খেতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যে সুফল পাবেন আশা করা যায়।
- অ্যালোভেরা-এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ঔষধি গুণ অনেক তা আমরা সকলেই জানি। এলোভেরার শ্বাস রূপচর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হরমোন রেগুলেশনে যেমন সাহায্য করে তেমনি পেট ঠান্ডা রাখতে ও সাহায্য করে। সব থেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাজা এলোভেরা পাতার রস সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে খান। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে না খাওয়াই উত্তম।
- অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার-রক্তে ইনসুলিন ও সুগারের মাত্রা তারতম্য হলো পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার কারণ এর মধ্যে একটি অন্যতম কারণ। রক্তে ইনসুলিন এবং সুগারের মাত্রা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন। আপনার পিরিয়ড সাইকেল নিয়ন্ত্রণে আনতে এটি অনেক সাহায্য করবে।
- কাঁচা হলুদ-হলুদ শুধু মসলা জাতীয় দ্রব্য হলেও প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চা এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার নানামুখী । এটি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শরীরে হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে ।এবং অনিয়মিত মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা হলুদ জরায়ুর মাংসপেশির সংকোচন প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ পিরিয়ডের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এক কাপ দুধে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ কাঁচা হলুদ নিয়ে মধু বা গুড় দিয়ে কিছুদিন খেয়ে দেখুন , আপনি নিজেই এর পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
- গাজর-গাজর একটি ভিটামিন এর সমৃদ্ধ পুষ্টিকর সবজি হিসেবে পরিচিত। আমরা অনেকেই সবজি খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন পিরিয়ড নিয়মিত করতে গাজর সবথেকে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গাজর হরমোন রেগুলেশনে সাহায্য করে এবং নিয়মিত রঙিন শাকসবজি খাওয়ার ফলে আপনি আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করতে পারেন।
- আঙ্গুরের রস-হরমোন রেগুলেশনের পাশাপাশি রক্তে ইনসুলিন এবং সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখতে আঙুর ফল অনেক সাহায্য করে। তাই আপনি যদি অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যায় ভোগেন তাহলে নিয়মিত কিছুদিন আঙ্গুরের রস খেয়ে দেখুন। আঙুল অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যায় সবথেকে বেশি ভূমিকা পালন করে।
- কাঁচা পেঁপে-কাঁচা পেঁপে ও পিরিয়ড রেগুলেশন এর সাহায্য করে । এটা জরায়ুর মাসল ফাইবার কনস্ট্রাকশন এর সাহায্য করে। পরপর কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেঁপে রস খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এটি না খাওয়ায় উত্তম। এছাড়াও পিরিয়ড নিয়মিত করা ছাড়াও কাঁচা পেঁপে হজমে সাহায্য করে ত্বক মসৃণ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মাসিক বন্ধ করার ঔষুধ
আপনার যদি মাসিক বন্ধ না হয়ে থাকে তবে অবশ্যই ওষুধ সেবন করতে হবে। সমস্যা
যদি খুবই গুরুতর হয়ে যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি
যদি সাময়িকভাবে মাসিক বন্ধ করার ওষুধ খেতে চান তাহলে এই পর্বের মাধ্যমে
জেনে নিন কোন ওষুধ খেলে মাসিক বন্ধ হবে।
ইভাস্ট্যাট ৫০০mg
ইভাস্ট্যাট 250 mg
এই ওষুধটি খেলে আপনার আপাতত মাসিক বন্ধ করতে পারবেন। বা মাসিক থেকে
রক্তপাত হওয়া বন্ধ করতে পারবেন।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই মাসিক সমস্যা নিয়ে অথবা মাসিক
সমস্যার সকল সমাধান সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে
কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি
ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।