আযানের দোয়া বাংলা অর্থসহ - আজানের দোয়া
আপনি কি জানেন আযান অর্থ কি - আযানের জবাব এবং ফজিলত সম্পর্কে। আপনি যদি আযানের
ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি
জানতে পারবেন আযান অর্থ কি - আযানের জবাব এবং ফজিলত সম্পর্কে।আযান হলো মুসলমানদের
বিজয় ধ্বনি।আমরা মুসলিম হওয়া সত্বেও অনেকেই জানিনা আযান অর্থ কি? তাই এই পর্বে জেনেনিন আযান অর্থ কি - আযানের জবাব এবং ফজিলত
সম্পর্কে।
আজান হলো মানুষের দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে আল্লাহ তাআলার ফরজকৃত পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার আহ্বান। আযানের ধ্বনি মুমিনের হৃদয় আলোড়িত
করে। আমাদের সকলের আযানের অর্থ জেনে নেওয়া উচিত। কেননা ইমাম সাহেব যখন আজান
দিয়ে থাকেন তখন অবশ্যই আমাদের উত্তম হলো আযানের সাথে সাথে আমাদের জবাব দেওয়া।
তাহলে চলুন জেনে নিই আযান অর্থ কি - আযানের জবাব এবং ফজিলত।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আযান অর্থ কি - আযানের জবাব এবং ফজিলত
- আযানের অর্থ
- আযানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব
-
আযানের উত্তর দেওয়ার সঠিক নিয়ম
-
আযানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত কি
- আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি
- আযানের দোয়ার ফজিলত
-
ফজর আযানের জবাব
-
শেষ কথা
আযানের অর্থ
আপনি যদি আযানের অর্থ জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের
মাধ্যমে আপনি আজানের অর্থ কি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া
যাক আযানের অর্থ। আযান অর্থ হচ্ছে ডাকা বা আহবান করা কে আযান বলা হয়।
ইসলামিক পরিভাষায় নামাজ আদায়ের জন্য আরবি নির্দিষ্ট শব্দমালা দ্বারা উচ্চস্বরে
ঘোষণা দেওয়াকে আযান বলে। মসজিদের মিনার থেকে মোয়াজ্জেমের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়
আযানের এই মধুর সুর, এর জবাব দেয়া রয়েছে সুন্নত এবং বিভিন্ন সওয়াব। ইসলামিক
বিধান অনুযায়ী সারাদিন এবং রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে আযান দেওয়া হয়।
প্রতি ওয়াক্ত আযানের মাধ্যমে মানুষকে নামাযের উদ্দেশ্যে আসার জন্য জানিয়ে
দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ
রমজান মাসের আমল - রমজান মাসের দোয়া ২০২৩
আযানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব
আযান দেওয়ার সময় আমরা অনেকেই কথা বলে থাকি। যেটা আমাদের মোটেও উচিত নয়। কারণ
দিনে পাঁচ ওয়াক্ত আযানের সময় আমাদের আযানের জবাব দেওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি
আযানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের
মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক আযানের জবাব দেওয়া ওয়াজিব কিনা। আযানের পর
কার্যকারী ভাবে জবাব দেওয়া অর্থাৎ আযান শুনে নামাজে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব।আবার
আজান শুরু হলে চুপ থেকে শুনে তার জবাব দেওয়া বিধেয় (সুন্নত)।যারা আযান শোনার পর
আযানের জবাব দিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে কিছু চান, আল্লাহ তাআলা বান্দার সেই
চাওয়া পূর্ণ করেন। আবার যথাযথভাবে আযানের জবাব যাতে রয়েছে চিরস্থায়ী শান্তি ও
পরকালে জান্নাত। একটি হাদিসে এসেছে সঙ্গে সঙ্গে যে ব্যক্তি আযানের শব্দ গুলো বলবে
সে জান্নাতে যাবে(আবু দাউদ,মেশকাত)।
আযানের উত্তর দেওয়ার সঠিক নিয়ম
অনেকেই রয়েছে যারা আজানের উত্তর দিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময় আমরা ভুল উত্তর
দিয়ে থাকি। তাই আপনি যদি আযানের সঠিক উত্তর দেওয়ার নিয়ম জানতে চান তবে এই
পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আযানের উত্তর দেওয়ার সঠিক
নিয়ম।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুমধুর ধনী হল আযান। এই সুর কোটি মুসলমানের প্রাণের অনুধাবন।
রাসূল (স.)বলেন, যখন তোমরা আজান শুনবে তখন জবাবে মোয়াজ্জিনের অনুরোধ তোমরাও
বলবে(বুখারি হাদিস ৬১১)। আযানের জবাব দেওয়ার সঠিক নিয়ম হলো, মোয়াজ্জেম
প্রত্যেকটি বাক্য বলার পর থামবে এবং শ্রোতা ওই বাক্যটির শুনে নিজেও একইভাবে বলবে।
এটাই হলো আযানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। কিন্তু মোয়াজ্জেন 'হাইয়্যা আলাস সালাহ'
এবং 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বলার সময় শ্রোতা এটির পরবর্তীতে "লা হাওলা ওয়ালা
কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" বলবে।
আযানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত কি
আমরা যদি জানতাম আজানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত কি। তাহলে হয়তো আজান দেওয়ার সময়
আমরা কেউই কথা বলতাম না। আযানের ফজিলত সম্পর্কে যদি ধারণা থাকতো তাহলে আযান
দেওয়ার সময় সবাই নিচু হয়ে আজান শুনতে এবং আযানের উত্তর দেওয়ার জন্য অপেক্ষারত
থাকতো। চলুন এই পড়বে জেনে নেওয়া যাক আযানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত কি।
আযানের জবাবের মধ্য আল্লাহতালা অসংখ্য ফজিলত প্রদান করেছেন। নারী পুরুষ সকলেই
আযানের জবাব দিলে সমান ফজিলত পাবেন। আব্দুল্লাহ ইবন ইউসুফ(রা.) আবু সাঈদ
খুদরী(রা.)থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ(সা.) বলেছেন, যখন তোমরা আযান
শুনতে পাও তখন মোয়াজ্জেম যা বলে তোমরা ও তার অনুরূপ বলবে। এক ব্যক্তি বলেন,ইয়া
রাসুলুল্লাহ! মোয়াজ্জেমরা তো আমাদের ওপর ফজিলত প্রাপ্ত হচ্ছে আমাদের থেকে বেশি
সওয়াব অধিকারী হচ্ছে। আমরা কিভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব। তিনি বলেন যেভাবে বলে
তুমিও সেইভাবে বলবে। পরিশেষে যখন আযান শেষ করবে তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে
তুমিও সেই একই ছোয়াব প্রাপ্ত হবে।
আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি
আমরা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও সকলেই জানিনা আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি। আমরা যদি
আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি জানতাম তাহলে সকল কাজে শেষে আমরা আলহামদুলিল্লাহ পড়তে
ভুলতাম না। সকল ভালো কাজের শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়া উত্তম কেননা প্রত্যেকটি ভালো
কাজের শেষে সফলতা পাওয়ার পরে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে হয়। চলুন এই
পর্বে জেনে নেওয়া যাক আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি।
আলহামদুলিল্লাহ বাংলা অর্থঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য। আল্লাহ তাআলার
প্রশংসা করা আমাদের সকলের জন্য বড় একটি আমল। মহান আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করলে
আল্লাহ বান্দার উপর সন্তুষ্টি হন। সব জায়গায় মহান আল্লাহর প্রশংসা করা আমাদের
সকলের উচিত। তিনি আমাদের আহারের রিজিক দেন। তিনি আমাদের জীবনকে আরো সুন্দর এবং
সুস্থ রাখবেন ইনশাল্লাহ।
আযানের দোয়ার ফজিলত
আযান দেওয়ার শেষে ইমাম সাহেব অথবা যে আযান দিয়ে থাকেন সে মোনাজাতে দোয়া করেন।
আমরা যদি এই দোয়ার ফজিলত সম্পর্কে জানতাম তাহলে হয়তো আমরা আযান দেওয়ার জন্য
এবং আযানের শেষে দোয়া করার জন্য মসজিদের সামনে গিয়ে ভিড় করতাম। কিন্তু আমরা
অনেকেই জানিনা আজানের দোয়ার ফজিলত কতটুকু। তাই চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক
আযানের দোয়ার ফজিলত।
আযানের দোয়ার ফজিলত অপরিসীম আযান দেওয়া বা আজানের উত্তর দেওয়ার পর দোয়া
পড়ে আল্লাহতালার কাছে কিছু চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেন না। আযানের দোয়া বাংলা
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ'দা' ওয়াতিত'তা-ম্মাতি ওয়াস-সালা
তিলক্বা-ইমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব;আছহু
মাক্বা-মাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া'আদতাহ, ইন্নাকা লা তুকলিফুল মী'আদ।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই আযান অর্থ কি - আযানের জবাব এবং
ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি আজান অর্থ কি এবং আযানের জবাব এবং ফজিলত
সম্পর্কে কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের পর্বটি
আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।