ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি - ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে
জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি - ডেঙ্গু হলে করণীয়
কি বিস্তারিত জানুন।
বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের
লক্ষণ কি এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার
জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় এবং লক্ষণ
সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু
জ্বরের লক্ষণ কি - ডেঙ্গু হলে করণীয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি - ডেঙ্গু হলে করণীয়
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি
- ডেঙ্গু হলে করনীয় কি
- ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
- ডেঙ্গু জ্বর হলে মুক্তির উপায়
- সাধারণ জ্বরের এন্টিবায়োটিক
- জ্বর সর্দি হলে করণীয়
- জ্বর সর্দির অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
- সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ
- শেষ কথা
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি
আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই
পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে
সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু
জ্বরের লক্ষণ কি। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- শরীরের জ্বর ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে
- মাথা ব্যথা
- বমি
- চোখের পেছনে ব্যথা
- চামড়ায় লালচে দাগ
- শরীরের শীতলতা অনুভব করা
- ক্ষুদা কমে যাওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
- মুখের স্বাদ পরিবর্তন হওয়া
- রক্তচাপ কমে যাওয়া
- গাটে ও পেশীতে ব্যথা হওয়া
ডেঙ্গু হলে করনীয় কি
আপনি নিশ্চয় ডেঙ্গু হলে করনীয় কি জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়
সম্পর্কে। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু হলে করনীয় কি।
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনি কি ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করবে সেটা নির্ভর করবে ডেঙ্গু
জ্বরের উপর। ডেঙ্গু জ্বরে তিনটি ধরন রয়েছে সেগুলো হল (এ, বি ও সি)। প্রথম
ক্যাটাগরি অর্থাৎ এ ক্যাটাগরির রোগীরা সাধারণ থাকে বা স্বাভাবিক থাকে তাদের
শরীর শুধুমাত্র জ্বর থাকে। তবে অধিকাংশ ডেঙ্গুর রোগীরা এ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে।
এই রোগীদের বাড়িতে বিশ্রাম নিলেই যথেষ্ট।
বি ক্যাটাগরি ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেই
ক্ষেত্রে লিভার মস্তিষ্ক ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার কিছু কিছু
ক্ষেত্রে পরিচর্যা কেন্দ্র এবং আই সিওর প্রয়োজন হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে বাড়িতে করণীয়
- সম্পূর্ণভাবে বিশ্রামে থাকতে হবে
- প্রচুর পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমনঃ ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস ও খাবার স্যালাইন।
- ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। একজন ভারপ্রাপ্ত ওজনের প্রাপ্তবক্স ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবেন। তবে কোন ব্যক্তির যদি লিভার বা হার্ট অথবা কিডনি বিষয়ে জটিলতা থাকে বা সমস্যা থেকে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল সেবন করবেন।
-
ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত শরীরে ব্যথা হয়ে থাকে। শরীরে ব্যথা হলে কোন ধরনের
ঔষধ খাওয়া যাবে না। বরং এই সময় যদি আপনি ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনার
রক্তক্ষরণ হতে পারে।
-
অনেকেই ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। এ বিষয়ে
উদ্বিগ্ন বিষয়ক কিছু নেই।
-
ডেঙ্গু জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মারি নাক অথবা
মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিকেলে
ভর্তি হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি
আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বরের সকল ধরনের
চিকিৎসা সম্পর্কে। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি চিকিৎসা গ্রহণ করবেন জানতে হলে এই পর্বটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনার যদি ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে
অথবা কারো যদি ডেঙ্গু জ্বর হয় তবে পরিপূর্ণভাবে বিশ্রাম নিতে হবে।
ডেঙ্গু
রোগীদের বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমনঃ ডাবের পানি, লেবুর
শরবত, ফলের জুস ও খাবার স্যালাইন। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ওষুধ দেওয়া
হয়ে থাকে। রোগের শিরায় স্যালাইন দিতে হতে পারে। এবং রোগীর অবস্থা যদি খারাপ
হয়ে থাকে তাহলে রোগীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তবে অবশ্যই নিকটস্থ
মেডিকেলে বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে রোগীকে ভর্তি করাতে হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে মুক্তির উপায়
ডেঙ্গু জ্বর হলে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বর হলে বা ডেঙ্গু
জ্বর থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে
নেওয়া যাক ডেঙ্গু জ্বর হলে মুক্তির উপায়। ডেঙ্গু জ্বর হলে বাড়িতে কি কি
করণীয় তা নিচে দেওয়া হলঃ
- সম্পূর্ণভাবে বিশ্রামে থাকতে হবে
- প্রচুর পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমনঃ ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস ও খাবার স্যালাইন।
- ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। একজন ভারপ্রাপ্ত ওজনের প্রাপ্তবক্স ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবেন। তবে কোন ব্যক্তির যদি লিভার বা হার্ট অথবা কিডনি বিষয়ে জটিলতা থাকে বা সমস্যা থেকে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল সেবন করবেন।
-
ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত শরীরে ব্যথা হয়ে থাকে। শরীরে ব্যথা হলে কোন ধরনের
ঔষধ খাওয়া যাবে না। বরং এই সময় যদি আপনি ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনার
রক্তক্ষরণ হতে পারে।
-
অনেকেই ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। এ বিষয়ে
উদ্বিগ্ন বিষয়ক কিছু নেই।
- ডেঙ্গু জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মারি নাক অথবা মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হতে পারে।
সাধারণ জ্বরের এন্টিবায়োটিক
আপনার যদি সাধারণভাবে জ্বর হয়ে থাকে তাহলে আপনি কি কি এন্টিবায়োটিক খেতে
পারবেন এবং কোন সময় খেতে পারবেন তার নিচে আলোচনা করা হলো। আজকের এই পর্বের
মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সাধারণ জ্বরের এন্টিবায়োটিক এর নাম সম্পর্কে। তাহলে
চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় সাধারণ জ্বরের এন্টিবায়োটিক
সম্পর্কে বিস্তারিত। নিম্নে লিখিত জ্বরের সকল এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করিতে হবে। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ নিম্নের সকল
এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। তাহলে চলুন
দেখে নেওয়া যাক সাধারণ জ্বরের জন্য কি কি এন্টিবায়োটিক রয়েছে।
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন
- এজিথ্রোমাইসিন
- সেফিক্সিম
- সেফট্রিয়াক্সেন
আপনার যদি শরীরে ব্যাকটেরিয়ার কারণে জ্বর হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার আপনাকে এই
এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো খাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করতে পারে।
জ্বর সর্দি হলে করণীয়
আপনার যদি সাধারণভাবে জ্বর সর্দি হয়ে থাকে এবং জ্বর সর্দি হলে করণীয় কি জানতে
চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন জ্বর
সর্দি হলে কি করনীয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে
নেওয়া যায় জ্বর সর্দি হলে করণীয় কি। সাধারণভাবে আপনার যদি জ্বর সর্দি হয়ে
থাকে তাহলে আপনি বাড়িতেই কিছুটা প্রতিরোধ করতে পারবেন। মিষ্টি আলো এবং বিটের
মূল এ কয়েকটি বিশেষ ধরনের কুমড়ার প্রচুর পরিমাণ ব্যাথা ক্যারোটিন রয়েছে যা
আমাদের দেহকে ভিটামিন এ রূপান্তরিত করে থাকেন।
ভিটামিন এ আমাদের নাক এবং ফুসফুসের মিউকোসাল এবং লাইনিংকে শক্ত রাখতে
সহায়তা করে যা নাক ও ফুসফুসকে ইনফেকশন হতে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও খাবারের
মধ্যে বেশি করে পেঁয়াজ ও রসুন থাকলে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের
সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। আবার ঠান্ডা বা জ্বর সর্দি ঢেকে বাঁচার জন্য
ভিটামিন সি এর ভূমিকা অপরিসীম। জ্বর সর্দি হলে আপনি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
খেতে পারেন। এছাড়াও আপনার সমস্যা যদি বেশি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
জ্বর সর্দির অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
আপনার যদি সাধারণভাবে জ্বর সর্দি হয়ে থাকে তাহলে আপনি কি কি অ্যান্টিবায়োটিক
খেতে পারবেন এবং কোন সময় খেতে পারবেন তার নিচে আলোচনা করা হলো। আজকের এই
পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সাধারণ জ্বর সর্দির অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ এর
নাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায় সাধারণ
জ্বর সর্দির অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। নিম্নে লিখিত জ্বর
সর্দির সকল এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন
করিতে হবে। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ নিম্নের জ্বর সর্দির সকল এন্টিবায়োটিক
ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক
সাধারণ জ্বর সর্দির জন্য কি কি এন্টিবায়োটিক রয়েছে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন
- এজিথ্রোমাইসিন
- সেফিক্সিম
- সেফট্রিয়াক্সেন
- Az 500 mg
- Az 250 mg
সর্দির ট্যাবলেটের নাম
- Histacin
- Histalex
- Histamin
- Histanol
- Histin
সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ
আপনি যদি সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ এর নাম জানতে চান তবে এই পর্বটি
মনোযোগ সহকারে করুন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সর্দি কাশি হলে
কোন ওষুধ খাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে
নেওয়া যাক সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত।
সর্দির ট্যাবলেটের নাম
- Histacin
- Histalex
- Histamin
- Histanol
- Histin
কাশির ক্যাপসুল
- Ambrox SR 75 mg
- acorex 30 mg
- ambeet 75 mg
- ambozin SR 75 mg
- ambroxol SR 75 mg
কাশির সিরাপ
- Ambrox
- Adovas
- Tusca Plus
- Boxol
- Ambolit
- Dexpoten
- Ocof
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি -
ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই পর্বটি সম্পর্কে আপনার যদি
কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।