পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায়

আপনি যদি পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি  জানতে পারবেন পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায়, সাত দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়, মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়, পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা, পেটের মেদ কমানোর ঔষুধের নাম এবং পেটের মেদ কমানোর ডায়েট চার্ট সম্পর্কে।
পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায়
আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিভাবে পেটের ভুড়ি কমানো যায় জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায়।

পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায়

আপনি যদি পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় সম্পর্কে। ট্রিটমেন্ট কমানোর সহজ এবং কার্যকর উপায় সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায়।

১। দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে

আপনার যদি দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তবে অবশ্যই দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে। খাবার খাওয়া শুরু করার পরে যখন সেই খাবার পেতে যায় তখন পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কের সংকেত পৌঁছায় যদি সহজ ভাষায় বলা যায় তা হলো পেটের সাথে ব্রেনের কথাবার্তা হয়ে থাকে পেট ভরেছে কিনা বুঝতে ব্রেনের বিশ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

মেদ কমাতে করণীয়

আপনি যেন কোনভাবেই অতিরিক্ত না খেয়ে ফেলেন সেই জন্য আপনাকে ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে এবং খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এই প্রক্রিয়াতে মাইন্ডফুল ইটিং বা মনোযোগ সহকারে খাবার খাওয়া বলা হয়। আপনি যদি এইভাবে অতিরিক্ত ক্যালরি খেয়ে ফেলা থেকে দূরে থাকতে পারেন অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে তাহলে আপনার নেট বা মেদ বা ভুড়ি কমতে শুরু করবে।

২। প্রতিদিন তিন বেলায় খাবার খেতে হবে

অনেকেই রয়েছে যারা পেটের মেদ বা ভুড়ি কমানোর জন্য সকালকার নাস্তা বাদ দিয়ে থাকে এবং দুপুরে খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে। আপনি যদি এক বেলাতে খাবার খাওয়া বাদ দেন তাহলে পরের বেলাতে বেশি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে এই জন্য পেটের মেদ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

মেদ কমাতে করণীয়

আপনি যদি এক বেলার খাবার বাদ দিয়ে পরের বেলার খাওয়ার অভ্যাস করে থাকেন তাহলে এখনি তা বদলে ফেলার চেষ্টা করতে হবে কেননা কোন বেলার খাবার যদি আপনি বাদ দেন তাহলে পরের বেলাতে বেশি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্যই কোনো বেলার খাবার বাদ দেয়া যাবে না যদি কোন কারণে খাবার বাদ পড়ে যায় তাহলে অবশ্যই পরের কোন বেলায় যেন অতিরিক্ত খাবার বা অসাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া হয় সেই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

৩। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে অবশ্যই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমনঃ লাল চাল অথবা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূল জাতীয় খাবার মিলে মিশে থাকা হবে। এই ধরনের খাবারে আঁশ রয়েছে যা ভুড়ি কমাতে বড় ভূমিকা পালন করে।

৪। অস্বাস্থ্যকর ঘুমের রুটিন বদলে ফেলতে হবে

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটি সম্পর্ক রয়েছে যার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। রাত জেগে কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করতে পারে অথবা কিছু খেয়ে ফেলতে পারেন। রাত জাগলে কিছু একটি খাওয়ার খেতে ইচ্ছে করবে এটাই স্বাভাবিক। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ক্যালরি শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়ে থাকে। অনেকেই রয়েছে রাত জেগে কাজ করার সময় খাবার হিসেবে সাধারণত ফ্যাটি বাদ্যে নিযুক্ত খাবার খেয়ে থা্কে।
এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর আছে কিনা সেই সম্পর্কে কেউ চিন্তা করে না। এছাড়াও নিয়মিত যদি পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হয়ে থাকে তখন সেটা মানসিক চাপ বা স্ট্রেস তৈরি করতে পারে। এই ইস্টেজ আমার বিভিন্ন বাড়তি ওজন এবং মেদ জমার কারণ হতে পারে।

৫। সাদা চাল অথবা সাদা আটা পরিহার করতে হবে

সাদা চাল অথবা সাদা আটা তৈরি করার জন্য ফাইবার বা আঁশ জাতীয় অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান গুলো ফেলে দেওয়া হয়। ফাইবার খাবারকে আস্তে আস্তে হজম করতে সহায়তা করে থাকে তাই ফাইবার ফেলে দেওয়ার কারণে খাবারগুলো দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সাদা চাল এবং সাদাআটার মতো পুটিয়া জাত শস্যদাগুলো বেশি খাওয়ার সাথে মেয়ের জমার সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে লাল চাল অথবা ঢেঁকিছাটা চাল এবং লাল আটার মতো গোটা শস্যদানার বেশি খাওয়া সাথে পেটের মেদ কমানোর সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
৫। সাদা চাল অথবা সাদা আটা পরিহার করতে হবে

৬। শুয়ে বসে না থেকে একটিভ থাকতে হবে

শুয়ে বসে থাকার কারণে শরীরে মেয়ের জমে তা প্রায় সবারই জানা রয়েছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ সমাধান হলো সপ্তাহের পাঁচ দিন মাত্র ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটাচলা করা। কেউ যদি সপ্তাহে মাত্র আড়াই ঘণ্টা করে ব্যায়াম করে তাহলে সে উপকার দ্রুত পাবে। এদের রোগব্যাধের সম্ভাবনাও কম থাকবে এবং শরীরের চর্বির পরিমাণ কমে যাবে।

রাতারাতি চর্বি কমানোর আশা করবেন না হাঁটা চলার প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাবেন সাথে কিছু ভারত চলুন ও অন্যান্য স্টেট ট্রেনিং করতে যদি পারেন তাহলে আরো ভালো হবে। আপনি যদি মনে করেন অন্য কোন ব্যায়াম আপনার জন্য উপযুক্ত হবে তাহলে সেটিও করতে পারেন।

সাত দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়

আপনি নিশ্চয়ই সাত দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সাত দিনের মধ্যে কিভাবে পেটির মেদ কমানো যায় সেই সম্পর্কে। সাত দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সাত দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়। সাত দিনের মধ্যে পেটের মেদ কমানোর উপায় মেতে দেওয়া হলঃ
  • গ্রিন টিঃ গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা জল দিয়ে কমাতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। গ্রিন টি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে।
  • কাঁচা মরিচঃ কাঁচা মরিচ এ রয়েছে ক্যাপ সেই সিন নামের এক ধরনের উপাদান যা শরীরকে সুঠাম দেহ করতে সহায়তা করে। রান্না করা অথবা কাঁচা যে কোন ধরনের মরিচের ঝাল মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এবং নিজে থেকেই ক্যালরি বার্ন করে বেশি বেশি ঝাল যুক্ত খাবার কমাতে পারে আপনার অতিরিক্ত ওজন।
  • সাগুদানাঃ আপনি যদি একবার নিরামিষ ভোজী হন তাহলে ওমেগা থ্রি নিয়ে একদমই ভাবতে হবে না কারণ সাগুদানাতে রয়েছে ওমেগা থ্রি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদানে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার।
  • আদা চাঃ আদা খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে। সারাদিনের দোষ চাপ করার পর আদাচার যেমন প্রশান্তি দেবে তেমনি এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
  • মাছের তিলঃ মাছের তেলে রয়েছে অমেগা থ্রি যা আপনার ওজন কমাতে অনেক সাহায্য বা সহায়তা করে। মাসে তেল হার গঠন করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও প্রয়োজনীয় কলস্ট্রেরল বৃদ্ধি করে। মাছের তেল কোমর এবং পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
  • লেবুর পানিঃ আপনি যদি চিনি ছাড়া লেবুর পানি খান তাহলে আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। লেবুর পানির লিভার পরিষ্কার করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙার কাজও করে থাকে।
  • দারুচিনিঃ দারুচিনি মেয়েটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও দারুচিনি, শরীরের অতিরিক্ত তেল এবং চর্বি কমিয়ে দেয় যার ফলে এটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
  • লিনমিটঃ মাংস সিদ্ধ করে পানি দিলে তৈরি হয় লিনমিট। যারা মাংস খেতে ভালোবাসে তারা সুস্বাদু করে মাংস না খেয়ে লিনমিট করে খেতে পারেন। সাধারণত মাংসের থেকে ৩০ শতাংশ ওজন কমবে শুধু লিনমিট খাওয়ার কারণে।
  • পানি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি আপনাকে শরীরের নানা অসুখ থেকে মুক্তি দেবে। পানি স্বল্পতার কারণে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অসুখ তৈরি হতে পারে। পানি শরীরের মেদ বা ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

আপনি যদি মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মহিলাদের পেটের মেদ কমানো যায় মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে। মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়। মহিলাদের পেটের মেদ বা ভুড়ি কমানোর উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
  1. কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কোন ব্যক্তি বা মহিলা যদি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে থাকেন তাহলে তার পেটে মেয়ের জমার প্রবণতা থাকে। সাধারণত বর্তমানে কর্মব্যস্ততা এবং জীবনের সময়ের অভাবে অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। খাবারের ফাইবার এর পরিমাণ কম থাকার কারণে অথবা পানি প্রয়োজনের তুলনায় অল্প পরিমাণে পান করার কারণে পরিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।
  2. মানসিক চাপে থাকাঃ মানসিক চাপ অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি একের পর এক নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শরীরের মেদবুদ্ধি করা তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা। একজন মহিলা যদি মানসিক চাপে থাকে তাহলে তার পেটে মেদ জমতে পারে। মানসিক চাপে থাকার কারণে রক্তে কটিসল হরমোনের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। কটিসল শরীরের চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে সাধারণত এই অবস্থায় পেটের চারপাশে চর্বি বাড়ে।
  3. হরমোনের পরিবর্তনের কারণঃ সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়। যার কারণে সে তার জীবনের মাঝখানে পৌঁছায় প্রায় 40 তখন 6 এর ওজনের চেয়ে চর্বি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মনোপজ এর সময়ে ইস্ট্রোজেনের হরমোন এর মাত্রা কমে যায় এবং এন্ড্রোজেন হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যায়। যার কারণে কোমরের চারপাশে চর্বি বেশি হয়ে যায়।
  4. বসে বসে শুধু কাজ করার অভ্যাসঃ বর্তমানে ম্যাক্সিমাম মহিলারা বসে বসে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। বসে বসে কাজ করার অভ্যাসের কারণে আপনার পেটে চর্বি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  5. সাঁতার কাটাঃ মহিলারা বাহিরে ব্যায়াম করতে যেতে না পারলেও অনেকেই রয়েছে যারা বাড়ির আশেপাশে পুকুরে সাঁতার কাটতে পারে। আপনার পেটে যদি চর্বি বেড়ে যায় তাহলে আপনি সাঁতার কাটতে পারেন এতে আপনার চর্বি বা মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা

আপনি নিশ্চয়ই পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পেটের মেদ কমানোর খাবারের তালিকা সম্পর্কে। পেটের মেদ কমানোর খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত। পেটের মেদ কমানোর জন্য যেসব খাবার আপনি খেতে পারেন তা নিচে দেওয়া হলঃ
  • গ্রিন টিঃ গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা জল দিয়ে কমাতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। গ্রিন টি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে।
  • কাঁচা মরিচঃ কাঁচা মরিচ এ রয়েছে ক্যাপ সেই সিন নামের এক ধরনের উপাদান যা শরীরকে সুঠাম দেহ করতে সহায়তা করে। রান্না করা অথবা কাঁচা যে কোন ধরনের মরিচের ঝাল মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এবং নিজে থেকেই ক্যালরি বার্ন করে বেশি বেশি ঝাল যুক্ত খাবার কমাতে পারে আপনার অতিরিক্ত ওজন।
  • সাগুদানাঃ আপনি যদি একবার নিরামিষ ভোজী হন তাহলে ওমেগা থ্রি নিয়ে একদমই ভাবতে হবে না কারণ সাগুদানাতে রয়েছে ওমেগা থ্রি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদানে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার।
  • আদা চাঃ আদা খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে। সারাদিনের দোষ চাপ করার পর আদাচার যেমন প্রশান্তি দেবে তেমনি এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
  • মাছের তিলঃ মাছের তেলে রয়েছে অমেগা থ্রি যা আপনার ওজন কমাতে অনেক সাহায্য বা সহায়তা করে। মাসে তেল হার গঠন করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও প্রয়োজনীয় কলস্ট্রেরল বৃদ্ধি করে। মাছের তেল কোমর এবং পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
  • লেবুর পানিঃ আপনি যদি চিনি ছাড়া লেবুর পানি খান তাহলে আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। লেবুর পানির লিভার পরিষ্কার করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙার কাজও করে থাকে।
  • দারুচিনিঃ দারুচিনি মেয়েটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও দারুচিনি, শরীরের অতিরিক্ত তেল এবং চর্বি কমিয়ে দেয় যার ফলে এটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
  • লিনমিটঃ মাংস সিদ্ধ করে পানি দিলে তৈরি হয় লিনমিট। যারা মাংস খেতে ভালোবাসে তারা সুস্বাদু করে মাংস না খেয়ে লিনমিট করে খেতে পারেন। সাধারণত মাংসের থেকে ৩০ শতাংশ ওজন কমবে শুধু লিনমিট খাওয়ার কারণে।
  • পানি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি আপনাকে শরীরের নানা অসুখ থেকে মুক্তি দেবে। পানি স্বল্পতার কারণে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অসুখ তৈরি হতে পারে। পানি শরীরের মেদ বা ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে।

পেটের মেদ কমানোর ঔষুধের নাম

আপনি যদি পেটের মেদ কমানোর ঔষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন ওষুধ খেলে পেটের মেদ কমে যায় সেই সম্পর্কে। পেটের মেদ কমানোর জন্য ওষুধের নাম জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমানোর ঔষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত। মেদ কমানোর জন্য কয়েকটি সবথেকে ভালো ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
  1. Eltroxine 50mcg
  2. Dietil
  3. Atova 10
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরোক্ত ওষুধগুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ সেবন করা যাবে না। আপনি যে ঔষধি সেবন করেন না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে ওষুধগুলো খাবেন।

পেটের মেদ কমানোর ডায়েট চার্ট

পেটের মেদ কমানোর ডায়েট চার্ট সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পেটের মেদ কমানোর জন্য ডায়েট চার্ট সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমানোর ডায়েট চার্ট সম্পর্কে বিস্তারিত। ভুড়ি কমানোর জন্য আপনি নিচের ডায়েট চার্ট গুলো ফলো করতে পারেনঃ
  1. সকালঃ দুইটি হাতে বানানো রুটি, কুসুম ছাড়া ডিম সেদ্ধ অথবা পানি পোচ এক গ্লাস লো ফ্যাট মিল্ক অথবা টক দই, কমলা অথবা সাইট্রিক এসিডযুক্ত ফল। রুটির বদলে এক বাটির কর্ণফুল খেতে পারেন। অবশ্যই নাস্তা শুরু করার পূর্বে খালি পেটে হালকা গরম কুসুম পানিতে একটি লেবু চিবিয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে এবং শরীরের মেদ ঝরবে দ্রুত। অবশ্যই মনে রাখবেন ঠান্ডা পানিতে কখনোই মধু খাবেন না ঠান্ডা পানিতে মধু খাওয়ার ফলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট হিসেবে আপনার শরীরে জমা হবে।
  2. দুপুরেঃ এক বাটি ভাত দুই পিস মাছ অথবা মুরগির মাংস, এক বাটি ডাল আলো ছাড়া তরকারি, শসা টমেটো অথবা গাজর দিয়ে এক বাটি সালাত যত ইচ্ছা তত খেতে পারেন। শুধু যে এগুলো দিয়ে সালাত বানাতে হবে এমন কিন্তু নয় আপনি আপনার পছন্দের উপকরণ গুলো বেছে নিয়ে সালাত তৈরি করতে পারেন।
  3. বিকেলঃ মুরি, পপকন, টোস্ট বিস্কুট রং চা অথবা দুধ চাও খেতে পারেন। তবে হালকা চিনি দিতে হবে প্রয়োজনে সিমে ছাড়া চা খাবেন কিন্তু চিনি দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস কখনোই করবেন না এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
  4. রাতঃ এক বাটি ঘরে বানানো মুরগির অথবা সবজির সুপ, এক বাটি সালাদ, এক গ্লাস লো ফ্যাট মিল্ক অথবা দই, একটি আপেল।
আপনাকে আরো কিছু খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলঃ
  1. লবণ কম খেতে হবে লবণ ঝরে পানি ধরে রাখে যার ফলে শরীরে পানি জমে শরীর ফুলে যায়।
  2. পেট কখনো খালি রাখা যাবে না তাহলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগে তাহলে সালাদ অথবা ফল খেতে পারেন।
  3. প্রতিদিন কমপক্ষে 15 মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
  4. রাতের খাবার অবশ্যই আটটার মধ্যে খেতে হবে।
  5. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে।
  6. ডিপ ফাইট খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় পেটের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকর ৬টি উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এই ধরনের পোস্ট আরো পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url