কি খেলে টিউমার ভালো হয় - টিউমার ভালো করার উপায়
আপনি যদি টিউমার রোগের লক্ষণ - টিউমার হলে করণীয় কি জানতে চান তবে এই পর্বটি
আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন টিউমার রোগের লক্ষণ গুলো কি এবং
টিউমার হলে করণীয় কি। বিভিন্ন কারণে শরীরের টিউমার হয়ে থাকে। আমাদের শরীর কোটি কোটি কোষের সমন্বয়ে
গঠিত। এসব কোষ গুলো প্রতিনিয়তই আমাদের শরীরে জন্ম নিচ্ছে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত
হচ্ছে। তাই চলো না এই পারবে আমরা জেনে নেই টিউমার রোগের লক্ষণ - টিউমার হলে করণীয় কি।
জাতীয় কোষগুলো যখন একত্রিত হয়ে কাজ করে তখন সেই কোষের সমষ্টিকে টিস্যু বলা হয়।
সাধারণত কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে টিউমার হয়ে থাকে। টিউমার প্রথমত ছোট
থেকে অনেক বড় আকার ধারণ করে। তাই আমাদের অবশ্যই টিউমার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে
হবে। চলুন এই পর্বে জেনে নেয়া যাক টিউমার রোগের লক্ষণ ও টিউমার হলে করনীয় কি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ টিউমার রোগের লক্ষণ - টিউমার হলে করণীয় কি
- টিউমার রোগের লক্ষণ কোনগুলো
- টিউমার হলে করনীয় কি - onuperona it
- টিউমারের ধরন-টিউমার চেনার উপায় ও প্রতিকার
- ব্রেন টিউমার নির্ণয়-ব্রেন টিউমার নির্ণয়ে অত্যাধুনিক ৯টি পরীক্ষা
- ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা-বাংলাদেশের ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা
- ব্রেন টিউমার চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশ-ব্রেন টিউমার চিকিৎসার খরচ কত
- কি খেলে টিউমার ভালো হয়-টিউমার প্রতিরোধের উপায়
- টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ-টিউমার প্রতিরোধে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়
- টিউমার রোগের হোমিও ঔষধ-টিউমার রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
- টিউমার ভালো করার দোয়া-টিউমার থেকে মুক্তির আমল
- জরায়ুর টিউমার বা ফাইব্রয়েড
- জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ সমূহ-জরায়ুতে ইউটেরিন ফাইব্রয়েড
- জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা
- জরায়ু টিউমারের ঘরোয়া চিকিৎসা-ফাইব্রয়েডের ব্যথা উপশমে ঘরোয়া পদ্ধতি
- শেষ কথা
টিউমার রোগের লক্ষণ কোনগুলো
আপনি যদি টিউমার রোগের লক্ষণ অথবা ব্রেন টিউমার হয়েছে কিনা জানতে চান তবে এই পর্বটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি টিউমার রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক টিউমার রোগের লক্ষণগুলো। ব্রেন টিউমারে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। যেমনঃমাথাব্যথা-ব্রেন টিউমারের প্রধান ও প্রাথমিক লক্ষণ হল অতিরিক্ত মাথাব্যথা। পরিধি হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। বিশেষ করে ভোরে মাথা ব্যথা বেশি হয়। হৃদরোগের আক্রমণ- খিচুনির ধরন ব্যক্তি ভেদে পৃথক হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া খিচুনি সমূহ হলোঃ
- মায়োক্লোনিক-এ গুলি একক বা একাধিক বেশি স্প্যামস, টুইসট,জার্কস।
- সংবেদনশীল-সংবেদন , দৃষ্টি গন্ধ বা শ্রবণশক্তির মধ্যে পরিবর্তন আসে।
- জটিল আংশিক-সচেতনতা বা চেতনা ক্ষতি আছে।
- টনিক ক্লোনিক-চেতনা হ্রাস, দেহের সর এবং পেশি সংকোচনশীলতা। মুদ্রাসয়
- নিয়ন্ত্রণের মধ্যে শারীরিক কিয়া নিয়ন্ত্রণ।
মুড সুইং-মস্তিষ্কের টিউমারজনিত কারণে ব্যক্তির আচরণে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এর মধ্যে বর্ধিত জ্বালা, অলসতা, অভাবহীন মনোভাব এবং মেজাজের আকস্মিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে যখন সেরিব্রামের কিছু অংশে ঘন্টার লোবে এবং টেম্পোরাল লোবে ঘটে তখন মেজাজের দোলগুলি ঘটে।
অবসাদ-সব সময় ক্লান্ত বোধ হওয়া। শারীরিক অঙ্গগুলি ভারী মনে হওয়া। দুর্বলতা, দিনের বেলা ঘুমানো এবং বৃষ্টি নিবন্ধ রাখতে অক্ষম হওয়ার মতো লক্ষণ গুলি দেখা দিতে থাকে। আরো কিছু লক্ষণ থাকতে পারে যা টিউমারটির অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত। এগুলো হলোঃ-
- টিউমারের চারপাশে চাপ বা মাথাব্যথা
- দৃষ্টি সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতি
- আলস্য আচরণ
- ভারসাম্য হ্রাস এবং মোটর দক্ষতা টিউমারের সাথে যুক্ত
- স্পর্শ বা চাপ পরিবর্তন
- বক্তৃতা, শ্রবণ শক্তি , স্মৃতি বা আবেগের অবস্থার পরিবর্তন
- শরীরে এক পাশের বাহু বা পায়ে দুর্বলতা
- স্তন্যদান এবং মহিলাদের মধ্যে মাসিক চক্র পরিবর্তন
- খাবার গিলতে সমস্যা , মুখে দুর্বলতা এবং অসারতা
- ডাবল দৃষ্টি
- অব্যক্ত বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- বিশৃঙ্খলা
- শ্রবণ শক্তিতে সমস্যা।
টিউমার হলে করনীয় কি - onuperona it
আপনি কি জানেন টিউমার হলে করণীয় কি? টিউমার হলে আমাদের বেশ কিছু নিয়ম
মেনে চলতে হবে। তাই চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক আমাদের শরীরে টিউমার হলে
করণীয় কি। টিউমার হলে যা যা করনীয় নিম্নে দেওয়া হলোঃ
টিউমার যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন তার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে
থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেলে সেটাকে অপারেশন করা ছাড়া অথবা
কেমোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। যা অত্যন্ত কষ্টকর
ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। তাই আমাদের টিউমার ভালো করার ঘরোয়া উপায় বা
প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। প্রতিদিনের কিছু বদ অভ্যাস ত্যাগ এবং
কিছু শাকসবজি এবং ফলমূল গহন করা হতে পারে টিউমার ভালো করার ঘরোয়া উপায়।
যেমনঃ-
- নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিষ্কার খাদ্য গ্রহণ করা
- তামাক বা তামাকজাদ দ্রব্য পরিহার করা
- অতিরিক্ত শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা
- বৈধ ও নিরাপদ যৌন সম্পর্ক নিশ্চিত করা
টিউমারের ধরন-টিউমার চেনার উপায় ও প্রতিকার
টিউমার হলে অবশ্যই আমাদের কোন ধরনের টিউমার হয়েছে সেই টিউমারকে চিহ্নিত
করে তার উপরে চিকিৎসা করতে হবে। কারণ বর্তমানে টিউমার এখন অনেক ধরনের হয়ে
থাকে। আলাদা আলাদা টিউমারের জন্য আলাদা চিকিৎসা রয়েছে। তাই অবশ্যই আমাদের
টিউমার রোগ চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তাহলে চলুন
জেনে নেওয়া যাক টিউমারের ধরন-টিউমার চেনার উপায় ও প্রতিকার।মূলত মানুষের
শরীরের মধ্যে দুই ধরনের টিউমার হতে পারে এগুলোকে কোষেধ ধরন এবং আচার
অনুসারে বিভক্ত করা যায়।যেমনঃ
- বিনাইনঃতত বিপদজনক নয় এমন টিউমার
- ম্যালিগন্যান্টঃ ক্ষতিকর ও বিপদজনক টিউমার। ক্যান্সার ও এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।
বিনাইন টিউমারের বৈশিষ্ট্যঃ
- একটিমাত্র আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে
- এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
- এটি শরীরের অন্য কোন স্থানের ছড়িয়ে পড়ে না।
- সাধারণত অপারেশন করালে ঠিক হয়ে যায় আর বাড়ে না।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের বা ক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য
- সম্ভবতই কোন আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে না। যার ফলে তা অনিয়ন্তিত এবং অগোছালোভাবে বৃদ্ধি পায়, যার ফলস্বরূপ ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।
- ক্যান্সার কোষ বা টিস্যু আশেপাশের কোষে ছড়িয়ে পড়ে।
- খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
- বেশিরভাগ ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে ভালো হয়। তবে পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাই। তাই দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
ব্রেন টিউমার নির্ণয়-ব্রেন টিউমার নির্ণয়ে অত্যাধুনিক ৯টি পরীক্ষা
বর্ধমানের বিএন টিউমার নির্ণয় করার জন্য অনেক ধরনের পরীক্ষার নিরীক্ষা
চালু হয়েছে। আপনি চাইলে অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ব্রেন টিউমার নির্ণয়
করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেন টিউমার নির্ণয়-ব্রেন
টিউমার নির্ণয়ে অত্যাধুনিক ৯টি পরীক্ষাঃ উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে যত
দ্রুত সম্ভব নিউরো সার্জারি বা নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে
হবে। রোগ নির্ণয়ে নিম্নোক্ত পরীক্ষাগুলো সহায়ক;
- ব্রেনের সিটি স্ক্যান ও এম আর আই।
- স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখার জন্য ইলেক্ট্র এনকেফলোগ্রাফি বা ইইজি।
- স্নায়ুতন্ত্রের পরিবহন ক্ষমতা বা নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট বা ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি।
- সিটি গাইডেড এফএনএসি।
- কটি প্লাঙ্কচার বা মেরুদন্ডের ট্যাপ
- অস্বাভাবিক টিস্যু বায়োপসি।
- সেরিব্রাল আর্টেরিও গ্রাম
- স্নায়বিক পরীক্ষা
- কম্পিউটারাইজ ট্রমোগাফি এবং পিইটি স্ক্যান
তবে বর্তমানে ব্রেন টিউমার নির্ণয়ের জন্য এমআরআই পদ্ধতি সবথেকে আধুনিক এবং
উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি।
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা-বাংলাদেশের ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল। চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন,
তীব্রতা, আকার এবং অবস্থানের উপর। রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি ও সার্জারি এর
মূল চিকিৎসা। তবে লক্ষণের উপর ভিত্তি করে কিছু ঔষধ দেওয়া হয়। যেমন খিচুনি
বন্ধ করার ঔষধ কিংবা বমি বন্ধ করার ঔষধ ইত্যাদি। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা
অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
এখন আর দেশের বাইরে গিয়ে বেন টিউমারের চিকিৎসা করাতে হয় না।বর্তমানে
বাংলাদেশেও ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। দেশের বড় বড়
শহরগুলোতে যেসব হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে সফলভাবে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা
করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের ব্রেন টিউমারের অপারেশন করা
সম্ভব। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অর্থাৎ আমাদের দেশে অনেক কম খরচে
এ রোগের চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের থেকেও
কম খরচে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করা যায়। তবে এক্ষেত্রে আমাদের আরো জাগ্রত
হতে হবে। আমাদের দেশে এই রোগের চিকিৎসাটা আরো সহজ করতে দরকার সম্মিলিত
প্রচেষ্টা। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ফান্ড গড়ে তোলা , পারস্পরিক সহযোগিতার
মনোভাব, আক্রান্তদের মানসিকভাবে শক্তি যোগান, সুস্থদের মধ্যে সচেতনতা
বৃদ্ধির মাধ্যমে এর রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব। আশা করা যায়, যদি সঠিকভাবে
এসব নিয়মকানুন আমরা সম্পূর্ণ করতে পারি তাহলে উপজেলা পর্যায়েও এ রোগের
চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
ব্রেন টিউমার চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশ-ব্রেন টিউমার চিকিৎসার খরচ কত
আপনি যদি বর্তমানে বি এন টিউমার চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশ অথবা ব্রেন টিউমার
চিকিৎসার খরচ কত জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এ পর্বের মাধ্যমে
চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেন টিউমার চিকিৎসার খরচ কত বাংলাদেশে।
আরো পড়ুনঃ মাসিক হলে করণীয় - মাসিক হলে কি করা উচিত
টিউমার অপারেশনের খরচ নির্ভর করে টিউমারের ধরন এবং জটিলতার উপর। একেক ধরনের
টিউমারে একেক রকম খরচ লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে সমস্ত
হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে অপারেশন করা হয়ে থাকে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ
করতে হবে। তাহলে আপনি ডিটেলস সহকারে খরচের হিসাবটা জানতে পারবেন। তবে
বাংলাদেশী সাধারণত ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যেই ব্রেন টিউমার অপারেশন
করা হয়ে থাকে। তবে রোগীর অন্যান্য জটিলতা থাকলে খরচ আরো বাড়তে পারে।
কি খেলে টিউমার ভালো হয়-টিউমার প্রতিরোধের উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার খাদ্য তালিকার মাধ্যমেও টিউমার ভালো করা সম্ভব।
টিউমার হলে অবশ্যই আপনাকে অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। এমনকি আপনার খাদ্য
তালিকা ও কি অনেক খাদ্য বাদ দিতে হবে এবং সংযোগ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া
যাক কি খেলে টিউমার ভালো হয় অথবা টিউমার প্রতিরোধের উপায়।
- সিম জাতীয় সবজি-সিম জাতীয় সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গুণ। এবং এর বীজ রয়েছে প্রাণীর আমিষ। আর আমরা জানিসবুজশাকসবজিবিভিন্নরোগপ্রতিরোধে সাহায্য করে।
- হলুদ-সাধারণত হলুদকে আমরা মসলা হিসেবে কিংবা রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকি কিন্তু হলুদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই সে সম্পর্কে হয়তো জানি না। টিউমার সহজে কোন রোগ নির্ণয়ে হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ব্রোকলি-ফুলকপির মত দেখতে সবুজ রংয়ের এই সবজিতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক গুণে ভরপুর। বাজারে হয়তো অনেকেই দেখেছি এই সবজিটি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এই সবজিটি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আপনি যদি নিয়মিত এই সবজিটি খান তাহলে টিউমার প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
- বেল-বেল খুবই সাধারণ এবং উপকারী একটি ফল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি যে টিউমার সারাতেও সাহায্য করে সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু সত্যি যে এটি টিউমার গলাতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকগণ টিউমার রোগীকে বেশি বেশি বেলের শরবত খাওয়ার জন্য উপদেশ দিয়ে থাকেন।
- গাজর-গাজর এমন এক ধরনের রঙিন সবজি যা বিভিন্ন ঔষধি গুনের ভরপুর। এটি বহু রোগের নিরাময়ক। তাই টিউমার প্রতিরোধে অধিক পরিমাণ রঙিন শাকসবজি খাওয়া উচিত।
টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ-টিউমার প্রতিরোধে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়
টিউমার হলে অবশ্যই আমাদের অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। যেমন আমাদের মানতে হবে
টিউমার হলে আমাদের কি খাওয়া উচিত নয়। অথবা টিউমার প্রতিরোধে কোন
খাবারগুলো আমাদের পরিহার করা উচিত। তাই চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া
যাক টিউমার হলে কি খাওয়া নিষেধ-টিউমার প্রতিরোধে কোন ধরনের খাবার
খাওয়া উচিত নয়।
- অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী।
- কৃত্রিম বা প্রক্রিয়াজাত করা চিনি শরীরের জন্য সর্বাংশে ক্ষতিকর। এটি শরীরের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা টিউমার রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
- একেবারে মসৃণ বা সাদা আটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই এ ধরনের মসৃণ আটা না খেয়ে কিছুটা লাল বর্ণের আটা খাওয়া অধিক স্বাস্থ্যকর।
- আচার বা সংরক্ষণ করা খাবার খুবই চটকদার হলেও সেটা কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষ করে টিউমার রোগীদের জন্য যতটা সম্ভব এ সমস্ত খাওয়ার এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
- প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংস টিউমার রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এমনিতেই লাল মাংস শরীরের জন্য ক্ষতিকর তার ওপরে প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংস হলে তো কথাই নেই। এটি অবশ্যই স্বাস্থ্য হানিকর।
টিউমার রোগের হোমিও ঔষধ - টিউমার রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
টিউমার হলে প্রাকৃতিক উপায়ে ও তা ভালো করা সম্ভব। আমরা অনেক সময় টিউমার
রোগের জন্য হোমিও ঔষধ খেয়ে থাকে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক টিউমার রোগের
হোমিও ঔষধ কোনগুলো অথবা টিউমার রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসা কি। বর্তমানে
হোমিও চিকিৎসাও অনেক উন্নত। আপনি যদি কোন রকম অস্ত্রপাচার ছাড়া টিউমার
সারাতে চান তাহলে হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। কেননা হোমিও ঔষধ খুবই
কার্যকরী এবং সহজসাধ্য। কোনরকম অপারেশন বা অস্ত্র পাচার ছাড়াই হোমিও ঔষধের
মাধ্যমে টিউমারের প্রকৃতির চিকিৎসা করা সম্ভব। হোমিও চিকিৎসায় সাধারণত
বিভিন্ন টিউমারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে এ
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- থুজা-টিউমার চিকিৎসার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ঔষধ হলো থুজা। কান কিংবা নাকের ভিতরের টিউমার সারাতে এই ঔষধটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয়।
- কোনিয়াম-এটি মূলত শক্ত ধরনের টিউমারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন পেট, স্তন বা শরীরের যেকোন অংশের টিউমারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- গ্র্যাফাইটিস-চোখের পাতার ওপরের টিউমার সারানোর ক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসায় মূলত এ ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- ক্যালকেরিয়া ফ্লোর-টিউমার যদি প্রচন্ড শক্ত এবং পুরনো হয় সেক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসকগণ এই ওষুধটি ব্যবহার করে থাকেন।
- ব্যরাইটা কার্ব-এই ঔষধটি মূলত নরম টিউমারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে শিশুদের মাথার টিউমারে এই ঔষধি অধিক কার্য করি।
টিউমার ভালো করার দোয়া-টিউমার থেকে মুক্তির আমল
আমাদের প্রত্যেকটি রোগ থেকে মুক্তি করার বা মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পন্থা
হলো আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাওয়া। কেননা একমাত্র আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল
রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। ইসলাম ধর্মালম্বী হওয়ায় আমরা বিশ্বাস
করি যে আল্লাহ চাইলে এই সমস্ত কিছু থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারেন, সেটা
হোক রোগব্যাধি কিংবা অন্য কোন দৈনন্দিক সমস্যা। রোগ নিরাময়ের জন্য অনেক
দোয়ায় রয়েছে। রাসূল(সাঃ) অনেক দোয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তবে সুনির্দিষ্ট
কোন সূরার কথা রাসুল(সাঃ) হাদিসে বলে যাননি বা উল্লেখ করে যাননি যে, এই
সূরা পড়লে রোগ নিরাময় হবে। কোরআন তেলাওয়াত করুন, তেলাওয়াত করে আল্লাহর
কাছে দোয়া করুন দেখবেন আল্লাহর সুবহানাল্লাহ তা'আলা রোগ নিরাময়ের
ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। কোরআন ও হাদিসের সমস্ত দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি"
অথবা,
" রাব্বি আন্নি মাসসানিআদ দূর ফু, ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন" এটাও
পড়তে পারেন।
কিংবা;
উচ্চারণঃ" আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি মুজহিবাল বা'সি, ইশফি আন
তাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফা আন লা য়ুগাদিরু সুকমা"।
অর্থঃ" হে আল্লাহ! মানব জাতির প্রতিপালক, কষ্ট নিরণকারী। আমাকে শেফা
দিন, আপনি শেফাদানকারি, আপনি ছাড়া কোন শেফা দানকারী নেই। এমন শেফা দিন যেন
কোন রোগ বালাই আর অবশিষ্ট না থাকে।"(সহিহ বুখারী, হাদিস;৫৭৪২)।
উপরোক্ত দোয়াগুলো মূলত টিউমার ভালো করার দোয়া নয়। বরং এটি যে কোন রোগ
নিরাময়ের ক্ষেত্রে তেলাওয়াত করা যেতে পারে। এবং আশা করা যায় আল্লাহ
তা'আলা চাইলে আমাদের সমস্ত রকমের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
জরায়ুর টিউমার বা ফাইব্রয়েড
আপনি কি জানেন জরায়ু টিউমার বা ফাইব্রয়েড টিউমার কি? যদি না জেনে থাকেন
তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া
যাক জরায়ুর টিউমার বা ফাইব্রয়েড টিউমার সম্পর্কে।
জরায়ুর মসৃণ পেশী কোষ দিয়ে তৈরি আর এই মসৃ ণ কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধির
কারণেই জরায়ুতে টিউমার বা ফাইব্রয়েড। ডিম্বাশয় উৎপন্ন সংবেদনশীল হরমোন
ইস্ট্রোজেনের জন্য ফাইব্রয়েড হয়ে থাকে। শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি
পেলে টিউমারের আকার বৃদ্ধি পায়(যেমন গর্ভকালীন সময়ে ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি)।
দেহে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলে টিউমারের আকাশ সংকুচিত বা ছোট হয়ে
যায়(মনোপজের পর ইস্টোজেন কমে যায়) হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির জন্য
মনোপজের পর ফাইব্রয়েড আকার সংকুচিত হওয়ার বিলম্বিত হতে পারে।
জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ সমূহ-জরায়ুতে ইউটেরিন ফাইব্রয়েড
নারী মাতৃত্বের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ হল জরায়ু। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
৩০ বছরের উর্ধ্বে নারীদের মধ্যে 20 শতাংশই জরায়ু টিউমারে আক্রান্ত হয়ে
থাকেন। জরায়ুতে সৃষ্ট এই টিউমারের অপর নাম হল ইউটেরিন ফাইব্রয়েড।
সংক্ষেপে ফাইব্রয়েড ও বলা হয়। এটি এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যান্সার
বা বিপদজনক কিছু নয়। বেশিরভাগ নারী এ সমস্যায় ভোগেন এবং তাদের গর্ভাশয়
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোন সমস্যা নিয়ে
আল্ট্রা সাউন্ড করতে গেলে এ সমস্যা ধরা পড়ে। সাধারণত এ রোগের কোন
উল্লেখযোগ্য লক্ষণ নেই। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি তিনজন আক্রান্তের মধ্যে
একজনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। নিম্নলিখিত একাধিক লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত
ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
- ব্যথাযুক্ত ও অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব
- মাসিক দীর্ঘস্থায়ী হওয়া
- তলপেট ফুলে যাওয়া
- মূত্রথলী ও অন্তে চাপ
- সহবাস-কালীন ব্যথা
- গর্ভপাত বা বন্ধ্যাত্ব
জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা
আপনার যদি জরায়ুতে টিউমার হয়ে থাকে তবে এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন
জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা সম্পর্কে। জরায়ু টিউমারের চিকিৎসা সম্পর্কে নিম্ন
আলোচনা করা হলো।অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাসিকের জন্য দায়ী যে হরমোন, ওষুধের
মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা সম্ভব। সেগুলি হলঃ
- ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ
- প্রজেস্টিন রিলিজিং এন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইসেস
- গোনাডোট্রোপিন রিলিজিং এগোনিস্টস
- গোনাডোট্রোপিন রিলিজিং অন্টাগোনিস্ট
এই ঔষধ গুলো রোগ লক্ষণের সাময়িক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তবে এতে টিউমার
সেরে যায় না।চিকিৎসা মূলত অস্ত্রপাচার অপারেশনই হল ফাইব্রয়েড টিউমারের
প্রধান চিকিৎসা। ওষুধের মাধ্যমে এর কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। প্রচলিত
অস্ত্রপাচার প্রধানত দুই ধরনের
- জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া ও
- জরায়ুর দেওয়াল থেকে ফাইব্রয়েড কেটে তুলে ফেলা।
তবে বর্তমানে দুটি পদ্ধতিতে জরায়ু টিউমারের অপারেশন করা হয়-ছিদ্র করে এবং
পেট কেটে। প্রচলিত এই দুই ধরনের অস্ত্রপাতার এই বেশ রক্তপাত হয়ে থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রচলিত অপারেশনের সময় জরায়ু কেটে বাদ দেওয়া হয়।
তাছাড়াও এ ধরনের অস্ত্র পাচারের পর গর্ভধারণ অধিকাংশ কমে যায়। তবে আশা
করা যায় জরাও টিউমারের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে লেজার
সার্জারি। এই পদ্ধতিতে কাটাছেঁড়া ও রক্তপাতহীন ভাবে লেজারের মাধ্যমে
ল্যাপরোস্কোপ ও গজ ও গাইডেন্সে জরায় টিউমারের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে।
আধুনিক এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজ বা লেজার আব্লাসন
নামে পরিচিত। এ পদ্ধতিতে জরায়ু অপসারণ বা না কেটে নারীর মাতৃত্ব অক্ষুণ্য
রেখে স্বল্প মেয়াদে জটিল টিউমার থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।গর্ভাবস্থায়
টিউমারের জটিলতা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জরায়ু টিউমারের ঘরোয়া চিকিৎসা-ফাইব্রয়েডের ব্যথা উপশমে ঘরোয়া পদ্ধতি
জরায়ু টিউমারের লক্ষণ গুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে । এ সমস্ত লক্ষণ গুলোর
মধ্যে প্রধান লক্ষণ হল তলপেট ব্যথা। ঘরোয়া পদ্ধতিতে জরায়ু টিউমারের ব্যথা
উপশম করা যায় । ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো হল-
- ননস্টেরয়েড এন্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ, যেমন আইবুপ্রুফেন খাওয়া
- হিটিং প্যাড বা গরম শেখ দেওয়া।
আরো কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে রোগের লক্ষণ গুলোকে প্রশমিত করা
যায়। সেগুলো হলঃ
- স্বার্থপর খাবার খেতে হবে খাবারের ভেতর প্রচুর ফল , সবজি , শস্য দানা , লিন মিট খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এবং রেড মিট , কার্বোহাইড্রেট এবং রিফাইল্ড সুগার এ জাতীয় খাদ্যকে বাদ দিতে হবে যেগুলো জরায়ু টিউমারের অবস্থাকে আরো খারাপ করে তোলে।
- দুধ ও দুধ জাতীয় খাদ্য যেমন দই, চিজ ইত্যাদি সপ্তাহে একদিন করে খেতে হবে।
- অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে। অথবা অ্যালকোহলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
- আইরন ও ভিটামিন বি এর সাথে অন্যান্য ভিটামিন এবং মিনারেল খেতে হবে যাতে অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে রক্তস্বল্পতা না হয়।
- নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে
- বিএমআই অনুযায়ী শরীরের ওজন সঠিক রাখতে হবে
- সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যাতে ব্লাড প্রেসার না বেড়ে যায়।
- যোগা বা মেডিটেশন করে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই টিউমার রোগের লক্ষণ টিউমার হলে
করনীয় কি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি টিউমার রোগ সম্পর্কে
কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি
ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।