তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
বর্তমান সমাজে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার অতি পরিচিত একটি শব্দ। মানসিক
এবং শারীরিক অতিরিক্ত চাপের কারণেই সাধারণত এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। উচ্চ
রক্তচাপের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের আরও একটি কারণ হলো অনিয়মিত
জীবনশৈলী, ব্যস্ততা, মানসিক চাপ ও রাস্তার ধারের ফাস্টফুড।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই সমস্যা বৃহৎ আকার ধারণ করতে পারে। যার
ফলে হৃদরোগজনিত নানান সমস্যা, কিডনি ও স্টোকের ঝুঁকি রয়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ এবং
নিম্ন রক্তচাপ উভয়ই শরীরের জন্য খারাপ। তাই আমাদের নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ
করা উচিত এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
পোস্ট সূচিপত্রঃ উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
- উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ সমূহ
- উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ ও লক্ষণ সমূহ
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি
- তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ
- দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
- ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
- শেষ কথা
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ সমূহ
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা যে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ সমূহ কোনগুলো বা কোন
খাবারগুলো অথবা আমাদের কোন অভ্যাসগুলোর কারণে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়।
অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং বিভিন্ন বদ অভ্যাসের কারণে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি
হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ সমূহ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ
- ডায়াবেটিস
- হৃদপিন্ডের অস্বাভাবিক কার্যকারিতা
- যে কোন প্রকারের কিডনি রোগ
- অলস জীবনযাপন
- ব্যায়ামের অভাব
- এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ সেবন করা
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা নাশক ঔষধ গ্রহণ করা
- পূর্ববর্তী প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
- অতিরিক্ত তেল মসলা ও লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ।
- ধূমপান বা মধ্য পান করা। ইত্যাদি
উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ ও লক্ষণ সমূহ
কিভাবে একজন ব্যক্তি বুঝবে তার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসারের সমস্যা
রয়েছে? উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ ও লক্ষণ সমূহ এবং মুক্তির উপায় নিয়ে
আজকের পর্বটি। উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি উপসর্গ এবং লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো
জানতে পারবেন এই পর্বের মাধ্যমে। উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ ও লক্ষণ সমূহ দেওয়া
হলো।
আরো পড়ুনঃ মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
- মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা
- চোখ ভারি হয়ে আসা/চোখে ভার অনুভব করা
- অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন
- দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব হওয়া
- দাঁড়িয়ে থাকতে অক্ষমতা প্রদর্শন করা
- হাত ও পায়ের অংশ দুর্বল হয়ে আসা
- বুকে ব্যথা ও অস্বস্তিকর অনুভূতি
- চোখে ঝাপসা দেখা
- জটিল ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্তপাত হওয়া।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি
উচ্চ রক্তচাপের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
যে কোন সময় দুর্ঘটনা শিকার ও হতে পারে। তাই অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ কমানোর
উপায় কি জেনে রাখতে হবে। যেন কোন ধরনের বড় বিপদ আশার পূর্বেই তা প্রতিরোধ করা
সম্ভব হয়। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি নিচে দেওয়া হল। উচ্চ রক্তচাপ
কমানোর দুইটি উপায় রয়েছে। যথা-
- ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কমানো ও
- প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানো
তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ
তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেই ওষুধগুলোর
নাম এবং প্রতিকারগুলো জেনে নিবেন। বাজারে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য অনেক
ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। সবগুলো ওষুধের কার্যকারিতা এক না। অনেক ওষুধ
রয়েছে যেগুলো তাৎক্ষণিক দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঔষধ এর তালিকা নিচে দেওয়া
হয়েছে। এজাতীয় ঔষধ সমূহ অনিয়ন্তিত উচ্চ রক্তচাপ, রক্তচাপের সাথে
এনজিনা, মায়োকার্ডিয়াল ইনফেকশন এর পরবর্তী অবস্থা এবং রি ফ্যাক্টরি
অ্যানজিনার বিরুদ্ধে কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যে ঔষধ গুলো খুব দ্রুত
কাজ করে সেগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ-
আরো পড়ুনঃ দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর উপায়
- olmecip 20 mg
- fixocard 5mg+25 mg
- Acudupine plus
- Aloten
- Aloten forte
- Amdin plus
- Amicard plus
- Amlobet
- Amlocord
- Amlovas plus
- Ampil plus
- Ampre plus
- Betanol-A
- Betanol-A 25
- Cardipin plus
- Cardosia Plus
- Emlon plus
- Locord Plus
- Sidoplus
- Tenodin
- vesocal plus
- Virlon Plus
দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর বিভিন্ন উপায় থাকলেও কিভাবে আপনি দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ
কমাবেন বা দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় জেনে নিন। দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ
কমানোর উপায় গুলো হলঃ
গোলমরিচ
হাফ গ্লাস পানিতে কিছুটা গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে দুই ঘন্টা পর পর পান করতে
থাকুন। খুব দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
পাতি লেবু
অতি দ্রুত সময়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অর্ধেক গ্লাস পানিতে
লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুই ঘন্টা পর পর লেবুর রস খেতে থাকুন। তাৎক্ষণিক
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার
উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে পারবেন। ঔষধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় হলোঃ
গোলমরিচ
হাফ গ্লাস পানিতে কিছুটা গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে দুই ঘন্টা পর পর পান করতে
থাকুন। খুব দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
পাতি লেবু
অতি দ্রুত সময়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অর্ধেক গ্লাস পানিতে
লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুই ঘন্টা পর পর লেবুর রস খেতে থাকুন। তাৎক্ষণিক
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
আপনার যদি হাই প্রেসার হয়ে থাকে অথবা উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে তাহলে যে
শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব এমন কিন্তু নয়। আপনি চাইলে
প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবেন। প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ
রক্তচাপ কমানোর উপায় কি জেনে নিন এই পর্বের মাধ্যমে। একজন উঁচু রক্তচাপ
বিশিষ্ট ব্যক্তির ইচ্ছে করলেই তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এ
ক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়ায় কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কোন
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় রয়েছে।
- খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
- খাবারের তালিকায় সাদা লবনের পরিবর্তে গোলাপি লবণ ব্যবহার করা উত্তম।
- প্রতিদিন কমপক্ষে 8 থেকে 10 গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা।
- নিয়মিত ব্যায়াম এর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন-অন্তত প্রতিদিন 30 মিনিট হাটা, সাঁতার কাটা লাফানো বা এই ধরনের ব্যায়ামগুলো করা
- যোগব্যায়াম বা ধ্যান করার মাধ্যমে মানসিকভাবে শান্ত থাকার চেষ্টা করা।
- মানসিক চাপ মোকাবেলা করা।
- নিজের রাগকে কন্ট্রোলে রাখা।
- খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখা।
- অতিরিক্ত তেল চর্বি মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা।
- নিয়মিত সবুজ শাকসবজি ও রঙিন ফলমূল খাওয়া।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো।
- ধূমপান বা মদ্যপান পরিহার করা। ইত্যাদ।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
অস্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে যেমন উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা দেখা যায় তেমনি
খাবারের মাধ্যমে আপনি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবেন। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
গুলো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার এর তালিকা নিচে
দেওয়া হলঃ
- প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি। যেমন-কলমি শাক, পালং শাক, লাউ, ফুলকপি, মটরশুঁটি, শশা, কুমড়ো, টমেটো, বাঁধাকপি, বেগুন ও অন্যান্য সৃজনাল শাকসবজি।
- নিয়মিত রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস করে গরম দুধ পান করা উত্তম
- বিশেষ করে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী। যেমন-ডাবের পানি, কলা ও টমেটো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ।
- ছোট মাছ খাওয়া উত্তম।
- বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফল খাওয়া যেতে পারে। যেমন-পেয়ারা, আমলকি, লেবু, পেপে নাশপাতি, বেদেনা ইত্যাদি।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু ব্যবহার অপরিহার্য। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আপনার যদি
উচ্চ রক্তচাপের কারণে কোন ধরনের সমস্যা হতে থাকে তাহলে আপনি লেবু খেতে পারেন।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু অনেক কার্যকারী একটি উপাদান। তাৎক্ষণিকভাবে
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু একটি আশার প্রদীপ।অতি দ্রুত সময়ে উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অর্ধেক গ্লাস পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুই
ঘন্টা পর পর লেবুর রস খেতে থাকুন। তাৎক্ষণিক উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে
আসবে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম
ব্যায়ামের মাধ্যমে যেকোনো রোগ কমিয়ে আনার সম্ভব অথবা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ এর ব্যতিক্রম নয়। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো
আপনি নিয়মিত করলে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেক সমাধান পাবেন। উচ্চ
রক্তচাপ ব্যক্তিদের জন্য যে ধরনের ব্যায়ামগুলো করা যেতে পারে। এগুলো হলো-
- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন
- হালকা লাফানো বা দৌড়ানো
- যোগব্যায় বা ধ্যান করা
- মানসিকভাবে নিজেকে শান্ত রাখা
- নিজের রাগকে কন্ট্রোলে রাখার ব্যায়াম
- শারীরিক এবং মানসিকভাবে শান্ত থাকার ব্যায়াম সমূহ। ইত্যাদি
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায়
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যেগুলো আপনি বাড়িতে নিজের
অভ্যাসের পরিবর্তনের সাথে সাথে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যবহার করে
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবেন। যদি আপনি নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায়
ভুগে থাকেন তাহলে আপনি দুটি উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
প্রথমটি হলো ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং
দ্বিতীয়টি হল প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই
এবং এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক উচ্চ রক্তচাপ
কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-
রসুন
শরীরে নাইট্রিক অক্সিড উৎপাদন বৃদ্ধিকারী এবং মাংসপেশীকে আরাম প্রদানকারী
এলিসিন রসুন এ পাওয়া যায়। যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি
রক্তের উচ্চতা এবং নিম্নচাপকে আরাম প্রদান করতে থাকে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ
রয়েছে তাদের নিয়মিত সকালে খালি পেটে থেকে দুইটি রসুন কোয়া খাওয়া
উচিত।
লাল চাউল
লাল বা বাদামি ধরনের চাউলে ফ্যাট শর্করা ও লবণের পরিমাণ খুব কম মাত্রায় থাকে
যেটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তুষের রুটি
ময়দা এবং আটা সমপারো মানে মিশিয়ে রুটি এ বানিয়ে খেতে পারেন তবে আটা থেকে
তুষ বের করা যাবে না। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো একটি উপাদান।
আদা
আদা তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের শর্করা
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আদার রস রক্ত চলাচল এর গতিকে সহজ করে
দেয়।
মৌরি দানা
সকালে ও বিকেলে খালি পেটে এক গ্লাস মৌরি দানা, জিরে ও চিনির মিশ্রনের পানি
পান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মেথি
প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে নিয়মিত একটা চামচ মেথি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেয়ে
নিন। ১৫ দিনের মধ্যে সুফল বুঝতে পারবেন।
তুলসী পাতা
সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা ও দুটো নিমপাতার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে সুফল পাওয়া যায়। মাত্র ১৫ দিন এটি করে দেখতে পারেন।
পেপে
উচ্চ রক্তচাপের অবাধ্য ঔষধ হলো পেঁপে। খালি পেটে এক টুকরা পেঁপে খাওয়া উচ্চ
রক্তচাপ কমানোর মহা ঔষধ।
পাতি লেবু
অতি দ্রুত সময়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অর্ধেক গ্লাস পানিতে
লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুই ঘন্টা পর পর লেবুর রস খেতে থাকুন। তাৎক্ষণিক
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আমলকি
আমলকির রসের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে পান
করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
গোলমরিচ
হাফ গ্লাস পানিতে কিছুটা গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে দুই ঘন্টা পর পর পান করতে
থাকুন। খুব দ্রুত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
নিয়মিত হাটা
প্রতিদিন অন্তত সকালে ৩০ মিনিট হাঁটুন। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও যে বিষয়গুলো প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে-
- রসুন
- খাবারের নুনের ব্যবহার কমিয়ে আনা
- দারুচিনি
- পেঁয়াজ
- এলাচ
- তিসি বীজ
- ধানের তুষ
- মূলা ও
- আমলকি
- যোগ ব্যায়াম করা
- মানসিক পেশার কমানো
- রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা। ইত্যাদি
শেষ কথা
বর্তমান সমাজে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার অতি পরিচিত একটি শব্দ। মানসিক
এবং শারীরিক অতিরিক্ত চাপের কারণেই সাধারণত এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। উচ্চ
রক্তচাপের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের আরও একটি কারণ হলো অনিয়মিত
জীবনশৈলী, ব্যস্ততা, মানসিক চাপ ও রাস্তার ধারের ফাস্টফুড। আমাদের অবশ্যই
অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং আনহেলদি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। মনে রাখবেন
সুস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবন যাপন আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সহায়তা করবে।