মানসিক রোগ - মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ
দৈনন্দিন জীবনে কমবেশি আমরা সকলেই মানসিক রোগ এ ভুগি থাকি। মানসিক চিন্তা এবং
মানসিক রোগ কিভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে আজকের পর্বটি। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি
খুব সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে মানসিক রোগ থেকে চিন্তা পাওয়া যায় এবং মানসিক
রোগের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে। কোন অপচর্গগুলো দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনি মানসিক রোগে
ভুগছেন সেগুলোই জেনে রাখুন।
দুশ্চিন্তা থেকে অনেক ভয়াবহ কিছু হতে পারে। কেননা মানুষ যখন মানসিক রোগে ভুগে
থাকে তখন তাদের মাথায় ভালো কিছু আসে না। মানসিক রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি
পাওয়া যায়, মানসিক রোগের ঔষধ এবং কিভাবে বুঝবেন মানসিক রোগ হয়েছে সেগুলো জানতে
পারবেন আজকের পর্বে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্তির ১৫ টি কার্যকারী উপায়
- মানসিক রোগের নাম
- মানসিক রোগের কারণ
- মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ
- মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
- মানসিক রোগের সমাধান
- মানসিক রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়
- মানসিক রোগের ঔষধের নাম
- মানসিক রোগের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- সিজোফ্রেনিয়া রোগের ঔষধের তালিকা
- উল্লেখযোগ্য মানসিক হাসপাতাল বাংলাদেশ
- শেষ কথা
মানসিক রোগের নাম
মানসিক রোগের নাম রয়েছে অনেকগুলো। আপনি কোন ধরনের অসুখে ভুগছেন সেটা আপনি
নিজেই বুঝতে পারবেন। আপনার অসুস্থতা বা আচার-আচরণে বোঝা যাবে আপনি কোন ধরনের
রোগে ভুগছেন। চিকিৎসা নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মানসিক রোগের নাম গুলো
সঠিকভাবে জানতে হবে। কোন ব্যক্তির অস্বাভাবিক আচার-আচরণ ও জীবন যাপনের
চিত্রকে মানসিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। স্বাভাবিক জীবনে দৈনন্দিন মানসিক
চাপ অস্থিরতা এবং বিচলিত থাকা এর মূল কারণ হতে পারে এছাড়াও মস্তিষ্কের বিভিন্ন
ধরনের রোগ এর কারণে একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকতে পারে।
মানসিক রোগ সাধারণত দুই প্রকার। যথাঃ-
- সাইকোটিকঃ সাইটোটিক হল গুরুতর মানসিক সমস্যা। বাইপোলার, সিজোফ্রেনিয়া, মেন্টাল দিস অর্ডার ইত্যাদি কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। প্রায় তিন লাখ মানুষ এ ধরনের রোগের শিকার। এ ধরনের রোগের আসল কারণ এখনো জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে এটি মূলত মস্তিষ্কের রোগ যেটি বংশগত , পরিবেশগত বা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে হতে পারে।
- নিউরোটিকঃ নিউরোটিক টাইপের মানসিক সমস্যা সাধারণত অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, প্যানিক অ্যাটাক, অস্বাভাবিক রাগ, শারীরিক কোন জটিলতা ইত্যাদি কারণে হতে পারে। অন্যান্য মানসিক রোগের চেয়ে এই ধরনের মানসিক রোগের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
মানসিক রোগের কারণ
প্রত্যেক রোগ হওয়ার পেছনে কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। আপনি যদি মানসিক
দুশ্চিন্তা বা মানসিক রোগে ভুগে থাকেন তবে অবশ্যই মানসিক রোগের কারণ
রয়েছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু রোগ গুলো জেনেটিক পর্যায়ে হয়ে
থাকে। মানসিক রোগ মস্তিষ্কের খুবই জটিল একটি সমস্যা। বর্তমান ইয়াং
জেনারেশনের ৩৫ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন কারণে বিভিন্নভাবে মানসিক রোগের আক্রান্ত
হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে একজন ব্যক্তির মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে
পারেন। বিশেষজ্ঞ সাইক্রিয়াটিক গণ মানসিক রোগের কারণ চিহ্নিত করেছেন
এগুলো হলো-
মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন
মস্তিষ্কের বিদ্যমান নিউরোট্রান্সমিটার রাসায়নিক মাত্রাবাহক হিসেবে কাজ করে।
এটি মূলত শরীরের হরমোন এর কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে। উক্ত হরমোন সমূহের
কার্যকলাপের কমবেশি ঘটলে মানসিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও রাসায়নিক
পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ধরনের সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, বাইপলার ডিসঅর্ডার,
বিষন্নতা সহ অন্যান্য মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে।
জেনেটিক/বংশগতিক
মানসিক অসুস্থতার অন্য একটি প্রধান কারণ হচ্ছে জেনেটিক বা বংশগতিক।
পারিবারিকভাবে কেউ যদি মানসিক রোগের বাহক হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মে এ
ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। বেশ কিছু জ্বীনের কারণে মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধি
পেতে থাকে বা এর প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়।
ট্রমা বা ভয়াবহতা
প্রাকৃতিক বা অ্যাক্সিডেন্টাল কোন ঘটনা যেটি মানসিক স্বার্থের ওপরে বিরূপ
প্রভাব সৃষ্টি করে সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে
পারেন। যেমন ভয়াবহ কোন দুর্ঘটনা, শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতন ইত্যাদি।
মানসিক চাপ
মানসিক সমস্যার আরও একটি মূল কারণ হলো মানসিক পেশার বা চাপ। দীর্ঘদিন যাবত
কোন ব্যক্তি ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপে ভুগে থাকলে তার মধ্যে শারীরিক এবং
মানসিক স্বাস্থ্যের নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয় যার ফলে নানা প্রকার মানসিক
সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমান জেনারেশনের মধ্যে মানসিক চাপ অত্যন্ত
পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে তার মূল কারণ হতে পারে-ফ্যামিলি পেশার, অকুপেশনাল
পেশার, লাইফ পার্টনার, কম ইনকাম, জীবন নিয়ে হতাশ ইত্যাদি।
নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ
বর্তমান ইয়াং জেনারেশনের অনেকেই ডিপ্রেশন বা টেনশন দূর করার জন্য বিভিন্ন
রকমের নেশার আশ্রয় নিয়ে থাকে। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য কে দ্বিগুণ
পরিমাণ অসুস্থ করে তোলে। নেশা জাতীয় পদার্থ আপনাকে সাময়িকভাবে উত্তেজিত
করলেও পরবর্তী সময়ে এটি আপনার মস্তিষ্কের উপরে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে।
পরিবেশ
বর্তমান বিশ্বে এক্সপোজারের পরিমাণ এত পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে যে আমরা এটা
পরিশোধন না করেই পরিবেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি। যা আমাদের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত
মারাত্মক। পারদ, মার্কারি, সিসা এগুলো পরিবেশ এবং মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এটি কোন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করলে মানসিক বিকাশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ, অতিরিক্ত শব্দ দূষণ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি
ইত্যাদি মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
অনেক ব্যক্তি রয়েছে তারা নিজেদের অন্য সামনে প্রকাশ করতে পারেনা। তাদের
মধ্যে সব সময় নিজেকে ছোট মনে হয়। কেউ কিছু দিলে সেটা তাদের কাছে অপমানজনক
মনে হয়। এটি এক ধরনের মানসিক সমস্যা। দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে একসময়
মানসিকভাবে অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে।
রোগ
বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে সক্ষম। যেমন
হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার, অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার বা জন্মগত কোন
রোগ যেগুলো পরবর্তীতে মানসিক অসুস্থতা তৈরি করতে সক্ষম।
অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের গঠন
কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের সময় মস্তিষ্কের গঠন কিছুটা অস্বাভাবিক মনে
হয়। আকারে অনেক ছোট বা অনেক বড় হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় কোন কারণে এটি হতে
পারে তবে এটি পরবর্তীতে মস্তিষ্কের যে কোন সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ
শারীরিক গঠন এবং কিছু বৈষম্যতার কারণে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি মানসিক রোগে
ভুগছেন। মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ কোনগুলো এবং কোন কোন বৈষম্যতা শরীরে দেখা
দিলে বোঝা যাবে মানসিক রোগ হয়েছে সেগুলো সকল কিছু জানাবো। বিভিন্ন রকমের
মানসিক সমস্যা রয়েছে । তাদের লক্ষণও ভিন্ন ভিন্ন। তবে প্রায় সব মানসিক
রোগীদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ প্রকাশ পায় এগুলো হল-
আরো পড়ুনঃ মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
- কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়
- বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ
- যা আশপাশের নেই সে সমস্ত জিনিস অনুভব করা
- ফাস্ট্রেশন/আত্মহত্যা প্রবণ মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া
- একা একা কথা বলা
- হঠাৎ হাসা আবার হঠাৎ কেঁদে ওঠা
- দৈনন্দিন কাজকর্মে অবহেলা বা অহেনা
- আত্ম পরিচর্যায় অহিনা
- খিটখিটে মেজাজ
- অল্পতে রেগে যাওয়া
- পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনকে নিজের শত্রু ভাবা
- সিদ্ধান্তহীন
- দীর্ঘদিন যাবত বিষণ্ণতায় থাকা। ইত্যাদি
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
সমস্যা যখন তৈরি হয়েছে তখন সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। তেমনি মানসিক রোগ থেকে
মুক্তির উপায় ও রয়েছে। শুধু আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে
হবে। প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ কমবেশি রোগের শিকার হয়ে থাকে। কারো মধ্যে এই
রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় আবার কারো মধ্যে প্রকাশ পায় না এটিই পার্থক্য। বিশেষ
করে মানসিক রোগ আমাদের জীবনের চলার পথে অনেক বড় বাধা সৃষ্টি করে। মানসিক রোগ
থেকে মুক্তির উপায় গুলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- জীবনের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর, কষ্টদায়ক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে।
- নেতিবাচক মনোভাব দূর করা।
- ভবিষ্যৎ বা অতীত নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করা
- মানসিক চাপ মোকাবেলা করা
- দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো
- জীবন নিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়া
- একাকীত্ব দূরীকরণে বন্ধুত্ব তৈরি করা
- পরিবারের সকলের সঙ্গে হাসি আনন্দের সঙ্গে কথা বলা এবং মেলামেশা করা
- সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ করা
- একা বসে না থেকে কোন কাজে নিজেকে নিয়োগ করা।
- সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ধর্মীয় কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করানো
- রুটিন মাফিক জীবন যাপন করা
- ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।ইত্যাদি।
মানসিক রোগের সমাধান
মানসিক রোগের সমাধান পেতে হলে শুধু আপনাকে জীবনযাপনের কিছু পরিবর্তন আনতে
হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই মানসিক রোগের সমাধান পাবেন। যেহেতু মানসিক রোগ দুই
ধরনের হয়ে থাকে সেহেতু জেনেটিক বা বংশগতিক রোগের ওপর আমাদের কোন হাত নেই।তবে
পরিবেশগত কারণে যে সমস্ত মানসিক রোগগুলো সৃষ্টি হয়। সেগুলো থেকে বাঁচতে আমরা
যে সমস্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারি সেগুলো হল-
আরো পড়ুনঃ ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ
- জীবনের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর, কষ্টদায়ক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে।
- নেতিবাচক মনোভাব দূর করা।
- ভবিষ্যৎ বা অতীত নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করা
- মানসিক চাপ মোকাবেলা করা
- দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো
- জীবন নিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়া
- একাকীত্ব দূরীকরণে বন্ধুত্ব তৈরি করা
- পরিবারের সকলের সঙ্গে হাসি আনন্দের সঙ্গে কথা বলা এবং মেলামেশা করা
- সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ করা
- একা বসে না থেকে কোন কাজে নিজেকে নিয়োগ করা।
- সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ধর্মীয় কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করানো
- রুটিন মাফিক জীবন যাপন করা
- ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।
মানসিক রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়
আপনি কি জানতে চাচ্ছেন মানসিক রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়? প্রতিটি ওষুধের সেবন
করার একটি মেয়াদ রয়েছে। আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অথবা নিজে নিজেই
ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনার রোগ ভালো হওয়ার থেকে ক্ষতি বেশি হতে পারে। সব
ওষুধই একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে খাওয়া উচিত। মানসিক রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হয়
বা হবে সেগুলো ওষুধ সেবনের পূর্বে জেনে রাখতে হবে। মানসিক রোগের ঔষধ কত
দিন খেতে হবে তা নির্ভর করে রোগীর অসুস্থতার প্রকৃতি অনুযায়ী। তবে অধিকাংশ
ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে সারাজীবনই এর ওপর ঔষুধ খেতে হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
স্বল্প মেয়াদের চিকিৎসাও দেয়া হয়।এক্ষেত্রে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।
মানসিক রোগের ঔষধের নাম
আপনি চাইলে প্রাকৃতিক উপায়ে ছাড়াও ওষুধের মাধ্যমে মানসিক রোগ ভালো করতে
পারবেন। সে ক্ষেত্রে ডক্টর গন কিছু মানসিক রোগের ঔষধের নাম আপনাকে
সাজেস্ট করতে পারে। মানসিক রোগের ঔষধের নাম গুলো পরবর্তী সুবিধার জন্য আপনি
জেনে রাখতে পারেন। মানসিক রোগের ঔষধ সাধারণত মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
রোগীর রোগের ধরন, রোগের কারণ ও লক্ষণের উপর ভিত্তি করে সাজেস্ট করে থাকেন।
এক্ষেত্রে যে ধরনের ঔষধ গুলো মানসিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে এগুলো
হলো-
- Qupex 200 mg tablet
- Q Pin 200 mg tablet
- Q Mind 200 mg tablet
- Quel 200 mg tablet
- Placidin 200 mg tablet
- Residon 2mg tablet
- Residon 4mg tablet
- Deprex 5mg tablet
- Nexcital 10mg tablet
- Oxapro 10mg tablet
- Oxat 20mg tablet
সতর্কতাঃ যেকোনো ঔষধ খাওয়ার
পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
মানসিক রোগের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক্ষেত্রে মানসিক রোগের ওষুধগুলো বাদ
যায় না। মানসিক রোগের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে নিয়মমাফিক এই ওষুধগুলো সেবন করতে হবে। মানসিক রোগের ঔষধের
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি কি হতে পারে সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- মাথা ঘোরা
- বিশৃঙ্খলা/কনফিউশন
- ত্বকে ফুসকুড়ি
- কথা বলার ধরন পরিবর্তন হয়ে যাওয়া
- উত্তেজনা ও রাগ
- ভারসাম্যহীন
- দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা
- পিঠে ব্যথা
- হজম ক্রিয়ায় সমস্যা
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত ঘুম
- শরীর ব্যথা
- খাবারে অরুচি
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- শুকনো মুখ।
সিজোফ্রেনিয়া রোগের ঔষধের তালিকা
মানুষ একটু রোগের অন্য একটি নাম হলো সিজোফ্রেনিয়া। সিজোফ্রেনিয়া রোগের ঔষধের
তালিকা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারেন। সিজোফ্রেনিয়া রোগের ঔষধের তালিকা গুলো
নিচে দেওয়া হল। সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। যাকে বদ্ধ উন্মাদ বলা
হয়। পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এ অ রোগটির সম্ভাবনা এক পারসেন্ট। সাধারণত ১৫ থেকে
৩৫ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে এ ধরনের রোগ দেখা দেয়। সিজোফ্রেনিয়া রোগের
টিপিক্যাল অ্যান্টি সাইকোটিক ঔষধ গুলো নিম্নরূপ-
- ক্লোরপ্রোমাজিন
- হেলপেরিডল
- প্রিমোসাইড
- প্যান্থিক্সল
- আরিপ্রিপ্রাজল
- সাপ্লিরাইড
- ডিপো
- পামিটেট
- ডেকানয়েট
- ট্রাইফ্লুপেরাজিন ইত্যাদি।
মানসিক হাসপাতাল বাংলাদেশ
আপনি যদি মানসিক রোগের জন্য মানসিক ডাক্তার দেখাতে চান তাহলে আপনি মানসিক
হাসপাতাল বাংলাদেশ গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারেন। নিচে কিছু মানসিক হাসপাতাল
বাংলাদেশ নাম এবং যোগাযোগের মাধ্যম উল্লেখ করা হলো।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল, পাবনা
বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত মানসিক হাসপাতাল পাবনা মানসিক হাসপাতাল। এটি
পাবনা জেলার হেমায়াতপুর নামক স্থানে অবস্থিত। ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বনামধন্য
মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্র।
যোগাযোগঃ
- E-mail: pmh@hospi.dghs.gov.bd
- website:www.facilityregidtry.dghs.gov.bd/org_profile.php?org_code=10001486
- Mobile:01710-864203,+8802588846231
- ঠিকানাঃ হেমায়েতপুর, পাবনা , রাজশাহী।
নিরাময় হাসপাতাল, ঢাকা
এটি বাংলাদেশের অন্যতম মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদক নিরাময় কেন্দ্র। এটি
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মাদকদ্রব্য বিভাগের অধীনস্ত লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি
প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মধ্যে সবথেকে ভালো একটি মানসিক হাসপাতাল। ১০ বছরের অধিক
সময় ধরে উক্ত হসপিটালটির মানসিক স্বাস্থ্য এবং মাদক নিরাময়ের কাজ করে
চলেছে।
যোগাযোগঃ
- E-mail: info@niramoyhospital.org
- website:www.niramoyhospital.org
- Mobile:01775-015010,+880248120112
- ঠিকানাঃ 13/19 ব্লক বি, বাবোর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-1207
মর্ডান সাইক্রেটিক হসপিটাল
যোগাযোগঃ
- website:http://www.mentalhealthbd.org
- ঠিকানাঃ 113/A মনিপুর পাড়া, গেইট ১, ফার্মগেট, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৬
লাইফ স্প্রিং হসপিটাল, ঢাকা
যোগাযোগঃ
- E-mail: contact@lifespringint.com
- website:www.lifespringint.org
- ঠিকানাঃ ৫৫/2, লেভেল 6/14, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫
শেষ কথা
মানসিক রোগ এবং মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ ও মানসিক রোগের বিস্তারিত জেনে নিশ্চয়ই
আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি এই পর্বের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এই পর্বে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।