মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ
আমাদের শরীরে এমন অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো আমরা বুঝতেও পারি না এবং দিন দিন এই রোগ
গুলো বেড়ে চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো থাইরয়েড। সারা বিশ্বে ১২ শতাংশ
মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রোগটি বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে
বেশি হয়ে থাকে। অনেকেই বুঝতেই পারে না কি কারণে থাইরয়েড হয়ে থাকে। বিশেষ করে
মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ গুলো কি সেগুলো পূর্ব থেকেই আপনি অনুভব করতে
পারবেন।
কমবেশি থাইরয়েডজনিত সমস্যা বর্তমানে অনেকের মাঝে দেখা দিয়েছে। থাইরয়েড সমস্যা
আপনি সমাধান করতে পারবেন যদি পূর্বে থেকে আপনি জানতে পারেন। থাইরয়েড হওয়ার
পূর্বে মানুষের শরীরে কিছু পরিবর্তন বা লক্ষণ দেখা দেয়। এই লক্ষণ গুলো দেখা
দেওয়া মাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। মহিলাদের
মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ কি কি দেখা দিতে পারে সেগুলো উপস্থাপন করা হলো।
সূচিপত্রঃ থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা - হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ
- থাইরয়েড কি
- থাইরয়েডের লক্ষণ ও প্রতিকার
- মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ
- থাইরয়েড কত প্রকার
- হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ
- থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা
- থাইরয়েড এর চিকিৎসা
- শেষ কথা
থাইরয়েড কি
শুধুমাত্র সচেতন মানুষগুলো বাদে অনেকেই জানেনা থাইরয়েড কি? থাইরয়েড সম্পর্কের
সবার মধ্যে জ্ঞান না থাকার কারণে এই রোগটি দিন দিন বিস্তার ধারণ করছে। তাই
আমাদের থাইরয়েড কি এটা সর্বপ্রথম জানা প্রয়োজন এবং এর প্রতিকারগুলো জেনে
রাখা উত্তম। থাইরয়েড বা থাইরয়েড গ্রন্থি হলো প্রজাপতি আকৃতির দুটি লোক
বিশিষ্ট একটি অন্তক্ষরা গ্রন্থি। এটি মূলত গ্রীবা তে অবস্থিত। পুরুষদের
অ্যাডামস অ্যাপেল এর নিচে অবস্থিত এই অন্তক্ষরা গ্রন্থিটি থাইরয়েড হরমোন
নিঃসৃত করে দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজের অংশগ্রহণ করে।
আরো পড়ুনঃ নিমিষেই দূর করুন মাথা ব্যাথা
এটি প্রোটিন সিনথেসিসও
মেটাবলিক রেট এর ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে। থাইরয়েড হরমোন এর মধ্যে টাইডো
থাইরোনাইড(T3) ও থাইরক্সিন(T4) আয়োডিন ও টাইরোসিন দ্বারা গঠিত। থাইরয়েড
ক্যালসিটনি নামক হরমোন তৈরি করার পাশাপাশি ক্যালসিয়াম হোমিও স্ট্যাসিসে
সাহায্য করে। লেরিংস ও শ্বাসনালী ঘেঁষে থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থান করে।
থাইরয়েডের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিভাবে বুঝবেন আপনার থাইরয়েড হয়েছে? থাইরয়েডের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব এই পর্বে। এই পর্বের শেষে আপনি জানতে পারবেন আপনার
থাইরয়েড হয়েছে কিনা এবং যদি হয়েও থাকে তাহলে এর প্রতিকার সম্পর্কে।
থাইরয়েডের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো এই পর্বের মাধ্যমে দেখে নিন।
একজন থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তবে সবথেকে সমস্যার কারণ হলো থাইরয়েড রোগের অবস্থান এর লক্ষণগুলো অন্যান্য
রোগের এবং জীবনের বিভিন্ন রোগের সাথে এই রোগের লক্ষণ গুলোর মিল রয়েছে। তাই
বেশিরভাগ সময় মানুষ বুঝতেই পারেনা তার শরীরে থাইরয়েড ধরা পড়েছে। যার কারণে
থাইরয়েড এর মত সমস্যা এবং অন্য কিছুর সাথে সম্পর্কিত রয়েছে কিনা তা আলাদা করা
খুব কঠিন হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ মাসিক বন্ধ হওয়ার ৮ টি কারণ জেনেনিন
অনেক সময় থাইরয়েড রোগের লক্ষণ গুলো দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে
অত্যাধিক থাইরয়েড হরমোন (হাইপার থাইরয়েডিজম) ও অন্যটি হলো স্বল্প থাইরয়েড
হরমোন এর সাথে সম্পর্কিত।
অত্যাধিক থাইরয়েড হরমোন (হাইপার থাইরয়েডিজম) এর লক্ষণ গুলো
- বিরক্ত, উদ্বেগ ও স্নায়ুর দুর্বল অনুভব করা।
- ঘুমের সমস্যা
- আগের তুলনায় ওজন কমে যাওয়া
- বেশি হওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি বা গলগন্ড
- পেশির দুর্বলতা ও কম্পন থাকা
- তাপের প্রতি সংবেদনশীল অনুভব করা
- চোখ জ্বালা অথবা দৃষ্টির সমস্যা
- অত্যাধিক ঘাম হওয়া
- ঋতুচক্রে কম রক্তক্ষরণ
- কাঁপুনি
- মাংসপেশীর সক্ষমতা কমে যাওয়া
- চোখ বড় হয়ে যাওয়া।
নিষ্ক্রিয় বা স্বল্প থাইরয়েড (হাইপোথাইরয়েডিজম) হরমোন এর লক্ষণ
- অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করা
- আগের তুলনায় ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
- বিস্মিত অনুভব করা
- মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন ও বেশি পরিমাণ মাসিক হওয়া।
- শুষ্ক এবং মোটা চুল থাকা
- কর্কশ কণ্ঠস্বর
- ঠান্ডা তাপমাত্রাতে অ সহিষ্ণুতা অনুভব করা
- খাবার গ্রহণে অপারগতা
- মন খারাপ
- হৃদরোগ
- অনুর্বরতা
- জয়েন্টে ব্যথা
প্রতিকার
হাইপোথাইরয়েডিজম লক্ষণ ও উপসর্গ কমাতে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন এর মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টিএসএইচ বা ঔষধ গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়াও প্রতিদিনের
খাদ্য অভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তন করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ
পুরুষের তুলনায় বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই বা প্রত্যেকটা মানুষের বাড়িতেই
কামনা কারও থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে। থাইরয়েড রোগ এমন একটি রোগ এই রোগের সব
থেকে বেশি লক্ষণ প্রকাশ পায় এগুলো সম্পর্কে আপনি যদি সচেতন থাকেন তাহলে সঠিক
চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের
লক্ষণ অনেক বেশি থাকে তাই আপনি যদি একটু সচেতন হন তাহলে অল্পতেই সুস্থ হয়ে
উঠতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের লক্ষণ গুলো হলঃ
ওজন বেড়ে যাওয়া অথবা কমে যাওয়া
হঠাৎ করেই অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া অথবা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন
কমে যাওয়া দুটোই থাইরয়েডের লক্ষণ। তবে এর মধ্যে একটি কে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা
হয় ও অন্যটিকে হাইপার থাইরয়েডিজম বলা হয়ে থাকে। শরীরের বিপাক ক্রিয়ার সাথে
থাইরয়েডের যোগ সূত্র রয়েছে তাই এটি ওজনের উপরে প্রভাব ফেলে।
ক্লান্তি অথবা দুর্বল
আগের থেকে আপনি যদি অল্পতেই বেশি ক্লান্তি এবং দুর্বল হয়ে পড়েন অথবা আপনার
শরীর যদি দুর্বলতা দেখা দেয় তাহলেও থাইরয়েড পরীক্ষা করাতে পারেন। থাইরয়েড
রোগের জন্য প্রথম লক্ষণ হল ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করা। থাইরয়েড হরমোন
একজন মানুষের শরীরে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে সুতরাং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে
শরীরের ক্লান্তিকর এবং দুর্বল অনুভূত হয়। তাই আগে তুলনায় শরীরে অতিরিক্ত
ক্লান্তি অনুভব হলে থাইরয়েড পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
সকল ঋতুতে ঠান্ডা লাগা
শীতকাল না থাকলেও আপনি যদি সারা বছর ঠান্ডা লাগা সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে
আপনার শরীরে থাইরয়েড রোগ হতে পারে। কেননা থাইরয়েডের কারণে শরীরের
ক্যালরি পূরণ করতে পারেনা। যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে
যায় এবং অল্পতেই ঠান্ডা লাগার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
অতিরিক্ত চুল পড়া এবং শুষ্ক থাকা
মাথার চুল পড়বে এটা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু যদি দেখেন আপনার
মাথার চুল তুলনামূলক বেশি পড়ছে অথবা দিন দিন মাথার চুল হারিয়ে যাচ্ছে তাহলে
সচেতন হওয়া খুব জরুরী। তবে চুল পড়ার পেছনে অন্যান্য কারণগুলোও থাকতে পারে।
আবার থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে চুল পড়ার মতো সমস্যা এবং চুল শুষ্ক থাকার
মতো সমস্যা দেখা দেয়।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব অথবা তুলনামূলক বেশি
বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড হওয়ার কারণে অনিয়মিত ঋতুস্রাব এর মত
সমস্যায় এবং তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় মহিলাদের ঋতুচক্র বিঘ্ন হয়ে
যায়। তাই আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনি পরীক্ষা করতে
পারেন।
থাইরয়েড কত প্রকার
থাইরয়েডের মত সমস্যা বর্তমানে দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রত্যেকটা
বাড়িতেই কামনা কারো থাইরয়েড রোগ হয়ে থাকে। প্রতি বছর এই রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই থাইরয়েড হওয়ার লক্ষণ গুলো উপলব্ধি করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে থাইরয়েড
থেকে থাইরয়েড ক্যান্সার এ পরিণত হতে পারে। থাইরয়েড সাধারণত দুই প্রকার হয়ে
থাকে সেগুলো হলঃ
- হাইপোথাইরয়েডিজমঃ স্বল্প পরিমাণ থাইরয়েড উৎপন্ন হয় বা থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতা।
- হাইপার থাইরয়েডিজমঃ বেশি পরিমাণ থাইরয়েড হরমেন নিঃসৃত হয় তাকে হাইপার থাইরয়েডিজম বলে।
থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা
থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা সাধারণত সাধারণত তুলনায় ভিন্ন হয়ে থাকে। কেননা
আপনার যদি থাইরয়েড হয়ে থাকে তাহলে খাবারের মাধ্যমেও আপনার কমিয়ে আনা
সম্ভব। এছাড়াও এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আপনার থাইরয়েড এর পরিমাণটা বেশি
হতে পারবেনা। তাই থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা উচিত।
থাইরয়েড রোগীর খাবার তালিকা মধ্যে রয়েছেঃ-
- আয়োডিনযুক্ত খাবারঃ থাইরয়েড রোগীদের জন্য খাদ্য পদার্থের আয়োডিনের মাত্রা উপযুক্ত হওয়া উচিত যার কারণ হলো আয়োডিনের মাত্রা থাইরয়েড এর ক্রিয়া-কলাপকে প্রভাবিত করে থাকে।
-
খাবারের উৎসঃ থাইরয়েড রোগীদের জন্য শুধুমাত্র সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত
খাদ্য ব্যবহার করতে পারেন। যার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রের মাছ, শৈবাল অথবা
সবজি। এগুলো খাওয়ানোর কারণ হলো এসব খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন
থাকে।
- লোহা ও তামাঃ লোহা এবং তামাযুক্ত খাবার থাইরয়েড রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এবং কার্যকারী। যার কারণ হলো এসব খাবারের মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়া ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। তামার খাবারের মধ্যে রয়েছে কাজুবাদাম, সাধারণ বাদাম এবং সূর্যমুখীর বীজ। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার।
-
আয়রনঃ খাবারের মধ্যে সবুজ শাক সবজির কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে সব
থেকে আয়রন রয়েছে পালং শাক এ। থাইরয়েড রোগীদের খাবারের তালিকায় পালং শাক
রাখতে পারেন।
-
পনির ও কাঁচা মরিচঃ থাইরয়েড রোগীদের জন্য বেশি বেশি পনির ও সবুজ
কাঁচা মরিচ এর সাথে টমেটো খাওয়া উত্তম। এই খাবারগুলো থাইরয়েড গ্রন্থির
জন্য অত্যন্ত কার্যকারী।
-
ভিটামিন এবং খনিজঃ থাইরয়েড রোগীদের জন্য ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত
খাবার গুরুত্বপূর্ণ। যার কারণে থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়া-কলাপ এর বৃদ্ধি
ঘটে।
-
দই ও বরফঃ থাইরয়েড হলে দই এবং আইসক্রিম খেতে পারেন যা থাইরয়েড
রোগীদের অনেক উপকারে আসে।
-
গরুর দুধঃ আপনি যদি থাইরয়েড ঘরোয়ায়ে কমিয়ে আনতে চান তাহলে
প্রতিদিন গরুর দুধ পান করতে পারেন।
-
নারিকেল তেল এর ব্যবহারঃ আপনি চাইলে নারিকেল তেল খাবারের মধ্যে
ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও নারিকেল তেলের ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি
থাইরয়েডের গ্রন্থির সক্রিয়তা বাড়াতে পারেন।
যে খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা
- সোয়া পাতা থেকে তৈরি যে কোন খাবার খাওয়া থাইরয়েড রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক।
-
থাইরয়েড রোগীদের অবশ্যই ফাস্টফুড খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এসব খাবার
আপনার শরীরে অনেক ক্ষতি করবে।
থাইরয়েড রোগীদের উত্তম কাজ হল এসব ডায়েট চার্ট ফলো করে খাবার গ্রহণ করা।
থাইরয়েড এর চিকিৎসা
থাইরয়েড এর চিকিৎসা অল্পতেই নেওয়া উত্তম। কেননা এটি দিন দিন বৃদ্ধি পেতে
থাকে। থাইরয়েড রোগ এর বয়স যতদিন হবে ততই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই দেরি
না করে থাইরয়েড ধরা পড়া মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে
হবে। থাইরয়েড এর চিকিৎসা গ্রহণ করে এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব। সাধারণত
হাইপোথাইরয়েডিজম এর জন্য সারা জীবন ঔষধ খেতে হয় এবং মাঝে মধ্যে থাইরয়েড
পরীক্ষা করার মাধ্যমে এর মাত্রা জেনে নেওয়া হয়। খুব কম সংখ্যক রোগের ক্ষেত্রে
অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে থাইরয়েড নির্মূল করা হয়। একজন বিশেষজ্ঞ হরমোন
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা
উপরের আলোচনা অনুযায়ী আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে থাইরয়েডের লক্ষণ এবং মহিলাদের
থাইরয়েড এর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। থাইরয়েড সম্পর্কে আপনার যদি কোন
প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের জানাতে পারেন এবং আপনি যদি আজকের এই পর্বে উপকৃত
হয়ে থাকেন তবে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেবেন
ধন্যবাদ।