গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি একটি ফল।গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের পুষ্টির যোগান দেয়।এ সময় ড্রাগন ফল খেলে আরো একটি উপকার পাওয়া যায় সেটি হল মায়ের যদি পুষ্টির অভাব থাকে তাহলে বাচ্চার পুষ্টির অভাব হয়ে থাকে।
আপনি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে ড্রাগন ফল ও তালিকায় রাখতে পারেন।এছাড়াও ড্রাগন ফলে আর কি কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আমরা আজকে এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেব।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
- ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
- ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
- শেষ কথা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
দেহের সঠিক পুষ্টির পরিমাণ নিশ্চিত করতে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন রকমের ফলমূল ও শাকসবজি রাখা অত্যন্ত জরুরি।তেমনি একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল ড্রাগন। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি দুইটি প্রজাতির হয়ে থাকে।একটি হলো সাদা এবং অন্যটি লাল।এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ।এ সকল পুষ্টিগুণ নির্ভর করে ফলের ধরন এবং ফলের পরিপক্কতার ওপর।
১০০ গ্রাম ড্রাগনের রয়েছে ক্যালরি50- 60 গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট 9-14 গ্রাম, চিনি 8 থেকে 12 গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার ১-২ গ্রাম, চর্বি ১ গ্রামেরও কম পরিমাণ ও প্রোটিন রয়েছে১-২গ্রাম।
এছাড়াও রয়েছে-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ বেটা লাইন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট ড্রাগন ফলে পাওয়া যায় যা ফ্রি রেডিক্যাল নামক ক্ষতিকর পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট ও ক্ষত থেকে কোষ কে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ভিটামিনঃ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন বি২ ও অল্প পরিমান ভিটামিন বি৩ রয়েছে।
খনিজ পদার্থঃ এতে আইরন সহ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস জাতীয় খনিজ পদার্থ রয়েছে।
ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসঃ এতে পলিফেনাল ও ফ্লাভনয়েড নামক ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট থাকায় ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
ইলেকট্রোলাইটসঃ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের শরীরের ইলেকট্রোলাইট এর ভারসাম্য বজায় রেখে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
লো ক্যালরিঃ অন্যান্য ফলের তুলনায় ড্রাগন ফলে ক্যালরির পরিমাণ অত্যন্ত কম হওয়ায় যারা ডায়েট করতে চান তাদের জন্য এটি আদর্শ খাদ্য।
ফাইবারঃড্রাগন ফলে বিদ্যমান ফাইবার প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যা উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- ফাইবার বা আশ জাতীয় পদার্থ থাকায় হজমে সাহায্য েকরে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ভিটামিন সি ও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন বি উপস্থিত থাকায় ভিটামিনের ঘাটটি পূরণে সহায়তা করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে।
- শরীরে ইলেকট্রোলাইট এর পরিমাণ বজায় রাখে এবং শরীরকে হাইড্রেশন রাখতে সাহায্য করে।
- ড্রাগন ফলে বিদ্যমান লাইকোপেন ক্যান্সার প্রতিরোধই হিসেবে কাজ করে।
- এতে ক্যারোটিন জাতীয় পদার্থ রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ক্যালসিয়াম জাতীয় পদার্থ থাকায় দাঁত ও হার মজবুত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী একটি ফল।
- ড্রাগন ফলে প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকায় এটি বিপাকীয় কাজের অংশগ্রহণ করে। শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত রাখে।
- এতে প্রচুর পরিমাণ আইরন থাকাই রক্তের হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে, কিশোরী নারীদের এবং প্রসূতিদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
- এতে ফাইবার, প্রোটিন ও জলীয় অংশ থাকাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- এতে চিনির পরিমাণ খুবই কম থাকায় এটি ডাইবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ ফল।
- ওমেগা থ্রি উপাদানটি শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিন্তু এই উপাদানটি শরীরে তৈরি হয় না। এটি আমরা মাছ থেকে পেয়ে থাকি তবে ড্রাগন ফলে ওমেগা থ্রি এর পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ফল বাজারে পাওয়া যায়। একটু দামি হলেও এই ফোনের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। এছাড়াও কম ক্যালরি যুক্ত ফল হওয়ায় অনেকে এটি পছন্দ করেন। এছাড়াও আইরন ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটিন, ও লাইক ওপেন রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- রক্তশূন্যতা দূর করে
- ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করে
- হার ও দাঁত মজবুত করে
- ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে
- হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
- ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দূর করে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
- কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
- চুল পড়া প্রতিরোধ করে
- বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শরীরে পানির সমতা বজায় রাখে
- মানসিক চাপ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। ইত্যাদি
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের অপকারী দিকগুলো-
- কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ড্রাগন ফলের উচ্চ দাম হওয়ায় সকলে কিনতে পারেনা।
- যারা নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করেন তাদের ঔষধের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে।
- সব সময় এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না।
- অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফল হল সকল প্রকার পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ একটি ফল। যা গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল মা ও শিশু উভয়ের জন্যই অত্যান্ত উপকারী এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে ড্রাগন ফল এর উপকারিতা গুলো নিম্নে উল্লেখিত করা হলো-
বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি রোধ করে
গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চার সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান পূরণ করে আইরন বা ফলিক অ্যাসিড। এটি সাধারণত ভিটামিন বি এ পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরে তৈরি হয় না। এটি বাহির থেকে আমাদের শরীরে নিয়ে আসতে হয়।এ জন্য গর্ভকালীন সময়ে ফলিক এসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করা হয়। তবে যদি খাবারের মাধ্যমে ফলিক এসিড পেয়ে থাকি তা অত্যন্ত উপকারী। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে যা বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া মা এবং শিশুর ফলিক এসিডের চাহিদা মেটানোর ভালো উৎস হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশে ফ্যাট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে ড্রাগন ফলে বিদ্যমান স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তাই অবশ্যই গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। এছাড়াও এটি মায়ের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করে।
কার্বোহাইড্রেট
শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য কার্বোহাইড্রেট ভূমিকা পালন করে। বিদ্যমান কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মায়ের শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ করে।
ফাইবার
গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগে থাকেন। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ফাইবার হজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন
ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন বি২ মা ও শিশুর শরীরের ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
প্রোটিন
ড্রাগন ফল প্রোটিন এর চাহিদা পূরণ করে। এবং ভ্রূণের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
বাজারে দুই ধরনের ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। প্রথমটি হল লাল ড্রাগন ফল আর দ্বিতীয়টি হল সাদা ড্রাগন ফল। তবে সাদা ড্রাগন ফলের তুলনায় লাল ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে বেশি।
১০০ গ্রাম লাল ড্রাগনে রয়েছে ক্যালরি50- 60 গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট 9-14 গ্রাম, চিনি 8 থেকে 12 গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার ১-২ গ্রাম, চর্বি ১ গ্রামেরও কম পরিমাণ ও প্রোটিন রয়েছে১-২গ্রাম।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- রক্তশূন্যতা দূর করে
- ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করে
- হার ও দাঁত মজবুত করে
- ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে
- হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
- ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দূর করে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
- কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
- চুল পড়া প্রতিরোধ করে
- বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শরীরে পানির সমতা বজায় রাখে
- মানসিক চাপ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। ইত্যাদি
লাল ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের অপকারী দিকগুলো-
- কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ড্রাগন ফলের উচ্চ দাম হওয়ায় সকলে কিনতে পারেনা।
- যারা নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করেন তাদের ঔষধের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে।
- সব সময় এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না।
- অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা
বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্যও ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী। বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে ড্রাগন ফল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
- ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
- ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ভিটামিন বাচ্চাদের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে
- এতে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন বাচ্চাদের জন্য উপকারী।
- এর ফলে বিদ্যমান ওমেগা ৩ শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী যা আমাদের শরীর তৈরি করতে পারেনা। শুধুমাত্র মাছে রয়েছে এবং ড্রাগন ফলেও এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে।
- বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সাহায্য করে
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে
- ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করে।
- শারীরিক সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ইত্যাদি
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
ড্রাগন ফলের আকার আকৃতি ও ফলের কোয়ালিটি অনুযায়ী একেক রকমের দাম হয়ে থাকে। তবে বর্তমান বাজারে 200 থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত ড্রাগন ফল বিক্রি হয়।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফল যেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর ঠিক তেমনি এর খোসার ও অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমরা না জেনেই ড্রাগন ফল খাওয়ার পর এর খোসাগুলো ফেলে দেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সমূহ-
- ড্রাগন ফলের খোসার রস ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
- শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- হার্টের সমস্যা দূর করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে।
- চুল পড়া প্রতিরোধ করে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে যা ভালোভাবে শোষণের জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই সকালে অভুক্ত অবস্থায় কিংবা দুইটি আহারের মধ্যবর্তী সময়ে ফল গ্রহণ করা উত্তম। এছাড়াও ব্যায়ামের আগে বা পরে ফল গ্রহণ করা উত্তম। তবে রাতে ঘুমানোর পূর্বে বা ভরা পেটে কখনোই ফল খাওয়া উচিত নয়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে কেটে খেতে পারেন অথবা বিভিন্ন প্রকার খাবারের সঙ্গে যোগ করেও খেতে পারেন। এছাড়াও জুস বা সালাদ হিসেবে খেতে পারেন তবে রান্না করে খাওয়া উচিত নয় এতে ফলের গুনাগুন নষ্ট হয়।
সতর্কতা
ড্রাগন ফল প্রায় সবার জন্যই নিরাপদ। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হজমে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত পরিমান হাওয়ায় উত্তম।
শেষ কথা
ড্রাগন ফল অত্যাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন আইরন ও ক্যালসিয়াম থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারে ড্রাগন ফল যোগ করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। ড্রাগন ফলের বিস্মিত কার্যকারিতা বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যারা নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করেন তারা অবশ্যই এই ফলটি খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। এবং যাদের অ্যালার্জি কিংবা হজমের সমস্যা রয়েছে তারা এটি এড়িয়ে চলায় উত্তম।