সজনে পাতার উপকারিতা

বিজ্ঞানীরা সজনে পাতাকে অলৌকিক পাতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। সজনে পাতার খাদ্যগুণ এবং পুষ্টিগুণ জানলে আপনিও বিস্মিত হবেন। বাংলাদেশীদের কাছে সজনে ডাটা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার। অনেকেই এর পাতাকে ভর্তা বা ভাজির সহ হিসেবে খেয়ে থাকেন। তবে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন কি?

বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীগণ সজনে পাতাকে সুপার ফুড বা অলৌকিক পাতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যান্য খাবারের তুলনায় সজনে পাতায় রয়েছে ২৭ শতাংশ আমিষ। ৩৮ শতাংশ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং দুই শতাংশ ফ্যাট রয়েছে এছাড়াও ১৯ শতাংশ ফাইবার বা আশ যা হজমকিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কোন কিছুই আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ ভালো নয়। সজনে পাতার উপকারিতা যেমন রয়েছে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সজনে পাতার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকসমূহ। সজনে পাতা নিয়মিত না খেয়ে কিছুদিন বিরতি দিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এই ধরুন ১০ থেকে ১৫ দিন খাওয়ার পর কিছুদিন বিরতি নিয়ে আবার খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এর উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সজিনা পাতার উপকারিতা সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো-

আপনি বিভিন্ন উপায়ে সজনে পাতা খেতে পারেন-

আপনি যে কোন উপায়ে সজনে পাতা খেতে পারেন। আপনার কাছে সব থেকে সহজ উপায়ে যেটি মনে হয় সে উপায়ে খেতে পারেন। এগুলোর মধ্যে-

সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বেই যথেষ্ট ধারণা পেয়েছি। তবে সজনে পাতায় সেদ্ধ বা রান্না করার পর এর গুনাগুন কিছুটা কমে যায় তাই আপনি যদি কাঁচা সজনে পাতার রস খেতে পারেন এটা আপনার শরীরের জন্য আরও বেশি উপকার হবে। তবে কাঁচা সজনে পাতা খাওয়া হয়তো সহজ নয়। এক্ষেত্রে আপনি সজনে পাতা রস করে খেতে পারেন। সজনে পাতার রসের টেস্ট বৃদ্ধির জন্য আপনি এর সাথে লেবু ও কিছুটা চিনি যোগ করতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনি যোগ করা যাবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সজনেপাতা রসের উপকারিতা সমূহ-

উপরের আলোচনা অনুযায়ী আপনি নিশ্চয়ই সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এবং সজনে পাতার আরো গুনাগুন সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।আজকের এই পর্বের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিবেন।